খাদ্যরুচি বা রন্ধনশিল্পের সঙ্গে সভ্যতার নিবিড় সম্পর্ক আজকের নয়। আদিম মানুষ যখন আগুনে পুড়িয়ে মাংস খেতে আরম্ভ করল, তখন থেকেই রন্ধনশিল্প চিরকালের মতো মানব-ইতিহাসের অংশ। পৃথিবীর নানা দেশে নানা কালপর্বে খাদ্যের নির্বাচন, নির্মাণ, পরিবেশন ও উপভোগের সুখপাঠ্য চালচিত্র মিলবে বর্তমান গ্রন্থে। প্রাচীন গ্রিসের পরিমিত খাদ্যাভাস, রোমের অমিতাচারী ভোজ, ইতালীয় রেনেসাঁর ফলে সৃষ্টি মার্জিত ভোজন-সংস্কৃতি, ফরাসিদের সূক্ষ্ম রন্ধনকলা, চৈনিক খাবারের বৈচিত্র্যময় প্রাচুর্য, আফ্রিকার সাধাসিধে খাবার, ভারতীয় খাবারের বিচিত্র সম্ভার, লাতিন আমেরিকার উষ্ণ খানাপিনা কিংবা মার্কিনীদের নির্বিচার আন্তর্জাতিক ভূরিভোজ—খাদ্যভুবনের প্রায় সব প্রান্তই ছুঁয়ে গেছে এ বই। সঙ্গে আছে খাদ্যগুণ ও প্রকরণ নিয়ে আলোচনা এবং বাঙালির খাদ্যরুচি সম্বন্ধে একটি মননময় সবিশেষ অধ্যায়।
.
খাদ্য কেবল ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য নয়, খাদ্যের মধ্যেও শিল্প আছে। কত বিচিত্র হতে পারে খাদ্য, কত বিচিত্রভাবে পরিবেশিত হতে পারে খাদ্য। খাদ্য তৈরি ও তা পরিবেশনের মধ্যে সংস্কৃতির ছাপ পড়ে। এই বইয়ে সেই সংস্কৃতিরই খোঁজ করেছেন একজন কবি।
Book Name : | খাদ্যভুবন |
Authors : | সানাউল হক |
Publisher: | Inhouse book |
Edition: | 1st Edition February 2025 |
ISBN Number: | 978-984-99576-6-9 |
Total Page | 0 |
কবি ও অনুবাদক। জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার চাউরা গ্রামে, ১৯২৪ সালের ২৩ মে। প্রকৃত নাম আল মামুন সানাউল হক। ১৯৪৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন এবং ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত সেখানে অধ্যাপনা করেন। পরে তিনি একজন আমলা হিসেবে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। বিশ শতকের চল্লিশের দশকে কবিখ্যাতি পান। কবিতার পাশাপাশি প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও ভ্রমণকাহিনিও লিখেছেন। সাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৪) ও একুশে পদক (১৯৮৩) লাভ করেন। মৃত্যু ১৯৯৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি, ঢাকায়।