শরৎ হেমন্ত কালনী হাতিগিলৗ গারো পাহাড়লা গুহিন বন থকন দল বাইনধৗ আহে। গিরস্থীগুলী ধান তে তারাই ও কলাগাছ খাইয়ৗ যায়। যত্রতত্র ঘুরিয়ৗ বিড়ায় ও ক্ষুতি করে। ঐ গুহিন বননি হাজংগিলৗ হাতি খিদা বানাবৗন। খিদা বাইনৗ রাজাগিলৗগে হাতি ধুরিয়ৗ দিবাগে বাধ্য থাকিবৗন। হাতি বিচৗ রাজাগিলালী এগরা লাভজনক বিপস্যা থাকিব্যন। এছাড়াও নবাব, বাদশা ও ইংরাজ গিলৗগে হাতি উপহার দিয়ে বাখার সুনাম কামাবৗন। বাইধ্যগত হাতি ধারিবাগে যাইয়ৗ রাখার হাজং মুরিছে। ... কেয়ামুদ্দিন সবেই তখন তার রবারের ডান পা’টি খুলে বিছানায় উঠে বসেছে। রবারের কালো পা’টা বিছানায় ঠেস দেওয়া। বেশ সুন্দর দেখতে। আমার যদি কেয়ামুদ্দিনের মতো একটা পা—ও থাকতো! তাহলে অমন আর একটা কালো রবারের পা আমারও হতে পারতো। তা না। আমার তো দু’টো পা—ই কাটা গেছে। মধুরও তাই। কিন্তু, মধুর দুঃখ যে আমাদের তাও পেনিস আছে। মধুর তা—ও নাই। যুদ্ধে ওর পেনিস উড়ে গেছে। ...এই বারগিররাও এল আর গ্রামকে গ্রাম সব মানুষ শূন্য হয়ে যাচ্ছে। আমার এত বড় আদংটা ফাঁকা হয়ে গেল? হরি হরি! না আসে রেশম চাষী, না আসে এণ্ডি কাপড় হাতে তাঁতী বেটিরা...মাইলের পর মাইল হাট নেই, বাজার নেই, খরিদ্দার নেই, তাঁতীও নেই, চাষাও নেই... সব যে উচ্ছন্নে গেল! বলি, নবাব আমাদের করছেটা কি? মা ভৈরবী কি তার কৃপা দৃষ্টি নবাবের মস্তক থেকে সরিয়ে নিয়েছেন? শাদা হাওয়ার উপর দিয়ে আমি হাঁটছিলাম নিকোলাস... বাতাসে বাতাসে যখন ঝুলছে অর্বাচীনতা... প্রজ্ঞারা বাক্সবন্দী... আসলে শাদা হাওয়ার উপর দিয়ে আমি হেঁটেছিলাম কি? আমার জুতো মৃত্তিকার আধা ইঞ্চি ওপরে...তখনো চরাচরের সবুজ ঘাস শিশিরে আচ্ছন্ন। কিন্তু, আমি সহসাই পৌঁছে গেলাম তোমাদের কাঁচ ঘরে.... তুমি আমার ডেস্কের কাছে এসে দাঁড়ালে, যেমন আগে দাঁড়াতে... আমার হাতে দিলে তুমি কয়েকটি কাগজ।
বই : অপৌরুষের ১৯৭১
লেখক : অদিতি ফাল্গুনী
প্রকাশকাল : অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯
প্রকাশনী : কবি প্রকাশনী
প্রচ্ছদ : সব্যসাচী হাজরা
Book Name : | অপৌরুষের ১৯৭১ |
Authors : | অদিতি ফাল্গুনী |
Publisher: | Inhouse book |
Edition: | 1st Edition, February 2019 |
ISBN Number: | 978-984-94102-2-5 |
Total Page | 152 |
অদিতি ফাল্গুনী। জন্ম : ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর। জাতিসংঘসহ একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, পত্রিকা, প্রকাশনা সংস্থা ও বাংলা একাডেমির অনুবাদ বিভাগে জীবনের বিভিন্ন সময়ে কাজ করেছেন। বর্তমানে নেদারল্যান্ডসের এ আর এল টি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে অন্তর্জালে সামাজিক বিজ্ঞানে অধ্যয়নরত। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থের সংখ্যা: দশ। এছাড়াও দুটো আখ্যান গ্রন্থ, একটি প্রবন্ধ সংকলন ও শিশু—কিশোরদের জন্য চারটি গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। দেশের বিভিন্ন বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে প্রচুর ফিচার, উপ—সম্পাদকীয়, বুক রিভিউ নিয়মিত লিখে থাকেন। সৃজনকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন ‘প্রথম আলো বর্ষসেরা গ্রন্থ (সৃজনশীল)—২০১১’, ‘বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সম্মাননা (সাহিত্য)—২০০৯’ ও ‘শ্রীপুর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার—২০১৬’।