মাতৃভাষায় বর্ণপরিচয় কেবলই ভাষাশিক্ষার উপায় নয়, বরং প্রজন্মান্তরে ভাষার উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠা ও ঐতিহ্যরক্ষায় এর তাৎপর্য সুগভীর। মাতৃভাষা চর্চার প্রথম সচেতন পাঠ বর্ণপরিচয়ে, আবার মানবশিশুর পুঁথিগত শিক্ষার সূচনাবিন্দু এই বর্ণপরিচয়। সে-অর্থে বর্ণপরিচয় শুধু মাতৃভাষা শেখার পর্যায়মাত্র নয়, সর্বজনের মৌলিক মানবিক অধিকার যে শিক্ষা, সেটির বুনিয়াদ। বর্ণপরিচয় ও ভাষাশিক্ষার প্রথম উপকরণ প্রাইমার। তাই শিক্ষার সর্বজনীন অধিকার প্রতিষ্ঠার সুদীর্ঘ পথের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ এই প্রাইমার।
বর্ণলিপি নিয়ে আমার আগ্রহ ও কাজের ধারাবাহিকতার প্রারম্ভে বাংলা প্রাইমারের একটি সংকলন করার পরিকল্পনা ছিল। উদ্দেশ্য ছিল, উল্লেখযোগ্য আদি প্রাইমারের সংগ্রহ, সময়ের সঙ্গে এর নির্মাণ, পরিমার্জন, মুদ্রণের কৌশল ও প্রকৌশল অনুধাবন। এই কাজের প্রয়োজনে আশিষ খাস্তগীর স¤পাদিত পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির “বাংলা প্রাইমার সংগ্রহ (১৮১৬-১৮৫৫)” শীর্ষক বইটি আমার সংগ্রহে আসে এবং নিঃসন্দেহে বাংলা প্রাইমারের প্রতি আমার কৌতূহল ও অন্তর্নিহিত তাগিদ বহু গুণে বাড়িয়ে তোলে।
বাংলা প্রাইমার অধ্যায়ের সূচনা ১৮১৬ সালে, শ্রীরামপুর মিশনারিদের উদ্যোগে বারো পৃষ্ঠার প্রথম বাংলা বর্ণশিক্ষার বই “লিপিধারা” থেকে। বাঙালির রচিত প্রথম বর্ণশিক্ষার বই “শব্দসার”, লেখক ঈশ্বরচন্দ্র বসু; রচনাকাল ১৮৩৫। বর্ণশিক্ষাকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিতে তিন খণ্ডে ছাপা হয় “শিশু সেবধি”, ১৮৪০ সালে।
প্রথমদিকে প্রাইমারগুলো নির্দিষ্ট বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম অনুসারে পাঠ্যবই হিসেবে প্রণয়ন করা হয়। এই পর্বে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে মদনমোহন তর্কালঙ্কারের “শিশুশিক্ষা” সিরিজ দিয়ে, যা রচিত হয় ক্যালকাটা ফিমেল স্কুল প্রতিষ্ঠার সময়। এখানে উল্লেখ্য, প্রথম যে ১৬ জন বাঙালি তাঁদের কন্যাদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিলেন, মদনমোহন তাঁদের একজন। একই সাথে তিনি অবৈতনিক শিক্ষক হিসেবে সেখানে পাঠদান করেন এবং ছাত্রীদের জন্য পাঠ্যপুস্তক রচনায় এগিয়ে আসেন। যে কারণে এই বাক্যটি লক্ষ করা যায় : “এতদ্দেশীয় বালিকা বিদ্যালয়ের ব্যবহারার্থ”।
“শিশুশিক্ষা” অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়, এর অন্তর্ভুক্ত কবিতা ‘পাখি সব করে রব...’ আজও বিস্মৃত হয়নি। বাংলা প্রাইমারের পালাবদলে নতুন যুগ আনে ঈশ^রচন্দ্র বিদ্যাসাগরের “বর্ণপরিচয়”, ১৮৫৫ সালে, গদ্যের নির্মেদ ভঙ্গিতে। “শিশুশিক্ষা” কবির লেখনীতে প্রাইমার, আর “বর্ণ পরিচয়” গদ্যকারের প্রাইমার। “শিশুশিক্ষা” ও “বর্ণপরিচয়ে”র সাফল্যের ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী দেড়শ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলা প্রাইমারের গতিপথ নির্মিত হয়েছে এবং এই বই দুটি আজও প্রাসঙ্গিক।
বাংলা ভাষায় শিক্ষার বহুল প্রসারের তাগিদে প্রাইমারগুলোর লক্ষ্য ছিল সুলভ, সংক্ষিপ্ত, সাশ্রয়ী, শিক্ষণীয় এবং একই সাথে চিত্তাকর্ষক ও শিশুবান্ধব হয়ে ওঠা। গভীর আগ্রহ, মনোযোগ, গবেষণা এবং প্রচেষ্টা ব্যতীত এতগুলো বৈশিষ্ট্যের সমাবেশ ঘটানো সম্ভব ছিল না। আধুনিক বাংলা ভাষা আর মুদ্রণ প্রযুক্তির বিকাশ হাতে হাত ধরে এগিয়ে চলেছে। তাই প্রাইমারগুলোর নকশা, মুদ্রণ, কাগজ, অলংকরণ, রং এবং বাঁধাইয়ে সেই সময়কার সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। মোটামুটি শুরু থেকেই বাংলা প্রাইমার সচিত্রকরণের প্রয়াস লক্ষণীয় এবং এতে মিশনারিদের বিশেষ অবদান ছিল।
উনিশ শতকের শেষ দুই দশকে গ্রন্থনামে ‘সচিত্র’ শব্দটি যোগ করার প্রবণতা দেখা যায়। এই সময়কালেই আবার গ্রন্থনামে ‘সহজ’ বা ‘সরল’ যোগ করার আগ্রহ কিংবা প্রয়োজন লক্ষ করা যায়। উনিশ শতকের শেষদিকে এসে ঢাকা থেকে প্রাইমার ছাপা হতে শুরু করে। রামসুন্দর বসাকের “আদি বাল্যশিক্ষা” প্রথম পূর্ববঙ্গ থেকে প্রকাশ হয় এবং জনপ্রিয়তার কারণে তা পশ্চিমবঙ্গ ও অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ে। চাহিদার কারণে কলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রাইমারের ঢাকা সংস্করণও এ সময় প্রকাশ হতে থাকে। সীতানাথ বসাকের “আদর্শলিপি”ও পূর্ববঙ্গেই প্রথম প্রকাশ হয়। উনিশ শতকের শেষদিকে প্রাইমারের চাহিদা বাড়তে থাকে এবং ব্যবসায়িক লাভের আশায় নকল ও বেনামে ছাপার প্রবণতা শুরু হয়। ফলে এই সময় থেকে প্রাইমারের সংখ্যা বাড়লেও সে অনুপাতে মৌলিক পরিবর্তন চোখে পড়ে না।
এই প্রকাশনায় ১৮৪৯ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত প্রথম প্রকাশিত মোট আটটি নির্বাচিত প্রাইমারের নমুনা মলাটবন্দি করা হলো। এ থেকে প্রায় একশ বছর সময়কালে দৃশ্যমান বিষয়বৈচিত্র্য এবং বিবর্তনের একটি ধারাবাহিক রূপ উপলব্ধি করা যাবে। গঠনশৈলী, নান্দনিকতা, উপস্থাপনার বিশেষত্বের কারণে এই আটটি প্রাইমারকে নির্বাচন করা হয়েছে। সময়ক্রম অনুসারে প্রাইমারগুলো হলো—মদনমোহন তর্কালঙ্কার প্রণীত “শিশুশিক্ষা”, ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রণীত “বর্ণপরিচয়”, রামসুন্দর বসাক প্রণীত “বাল্যশিক্ষা”, সীতানাথ বসাক প্রণীত “আদর্শ লিপি”, যোগীন্দ্রনাথ সরকার প্রণীত “হাসিখুসি”, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত “চিত্রাক্ষর”, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত এবং নন্দলাল বসু অলংকৃত “সহজ পাঠ” এবং বিমলচন্দ্র ঘোষ প্রণীত এবং সত্যজিৎ রায় অলংকৃত “হাতেখড়ি”। “হাতেখড়ি” বইটি এই সংকলনে ছাপার অনুমতি দেওয়ায় সন্দীপ রায়ের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা।
নির্বাচিত প্রাইমারগুলোর প্রথম প্রকাশিত নমুনাটি খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। এই বইয়ে প্রকাশিত নমুনাগুলো ওই প্রাইমারের (প্রাইমার সিরিজের ক্ষেত্রে প্রথম ভাগের) সব থেকে পুরানো ও প্রচলিত সংস্করণ (একাধিক নমুনার ক্ষেত্রে)।
বলে রাখা ভালো, প্রাইমারগুলোর প্রথম প্রকাশের তথ্য প্রমাণিত হলেও কপিরাইট পেইজ বা বাদবাকি তথ্য এখন আর জানা সহজ নয়। ফলে মূল বা প্রচলিত সংস্করণের প্রচ্ছদ ও অলংকরণ শিল্পী, অক্ষর খোদাইকার, লিপিকারদের নাম জানা সম্ভব হয়নি। তবে ধারণা করা যায়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে লেখক নিজেই আঁকা, লেখা এবং অক্ষরবিন্যাস সবই করেছেন।
এই সংস্করণগুলো এতই প্রচলিত যে কপিরাইট বা নির্দিষ্ট প্রকাশক বা ছাপাখানার কোনো সূত্র পাওয়া দুরূহ। দুই বাংলার আনাচে-কানাচে কত ছাপাখানা থেকে এই প্রাইমারগুলো কতভাবে ছাপা হয়েছে এবং সাধারণের কাছে যুগের পর যুগ এর আবেদন ধরে রেখেছে তা সত্যিই ভাবনার খোরাক জোগায়। এখনো প্রাসঙ্গিক এবং সচল থাকার একটি কারণ বোধহয় কোনো নির্দিষ্ট কপিরাইট বা ছাপাখানায় আটকে না থাকা এবং সমকালীন বাস্তবতায় অবধারিত পরিবর্তনগুলোকে আত্তীকৃত করা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, রামসুন্দর বসাকের “আদি বাল্যশিক্ষা”য় কুইন ভিক্টোরিয়ার ছবির নিচে যুক্ত হয়েছে ভারত বিভাগ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার তথ্য। একইভাবে অনুমান করা যায় সীতানাথ বসাকের বহুল প্রচলিত “আদর্শ লিপি”র প্রাপ্ত সংস্করণে পাঠকের প্রয়োজনকে মাথায় রেখেই ইংরেজি ও উর্দু বর্ণমালার অন্তর্ভুক্তি। এক্ষণে বলে রাখা সমীচীন, এই প্রকাশনায় অন্তর্ভুক্ত কোনো নমুনাই এর প্রথম বা প্রাতিষ্ঠানিক সংস্করণের অথেন্টিসিটি বা প্রামাণিকতা দাবি করতে পারে না।
এ বইয়ে নির্বাচিত নমুনাগুলোর নকশা অপরিবর্তিত রেখে নতুন করে মুদ্রণ উপযোগী করা হয়েছে। যে নমুনাগুলোর পৃষ্ঠা নম্বর ছিল না, এখানে সেইরকমই রাখা হলো। সম্পূর্ণ বইয়ের প্রচ্ছদ এবং অঙ্গসজ্জা অক্ষুণ্ন রেখে কাজটি করা হলো যেন পাঠক পুরানোকালের হরফ, গ্রন্থসজ্জা, রংয়ের প্রমিত ব্যবহার এবং মুদ্রণশৈলীর সাথে পরিচিত হতে পারেন। বলা বাহুল্য মূল নকশা, রূপ ঠিক রেখে পুনর্মুদ্রণ বেশ শ্রমসাধ্য এবং সময়সাপেক্ষ এবং প্রতিটি পাতাতেই আলাদাভাবে মনোযোগ দিতে হয়েছে। “চিত্রাক্ষর” বইটি মুদ্রণ হয়েছিল আড়াআড়িভাবে; এই সংকলনের আকারের সাথে সামঞ্জস্য রাখতে বাকি নমুনাগুলোর মতো পোর্ট্রেট আকারে ছাপা হলো। এক শতক সময়কালে বিস্তৃত বলে অবধারিতভাবেই মুদ্রণে বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার হয়েছে। যেমন মুদ্রণে উডব্লক প্রিন্টিং, মুভেবল টাইপ প্রিন্টিং, স্ক্রিনপ্রিন্টিং, লেটারপ্রেস প্রিন্টিং এবং অলংকরণে উড প্রিন্টমেকিং, এচিং, লিথোগ্রাফি এবং লাইনোকাটের কাজ উল্লেখযোগ্য।
বাংলা প্রাইমারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা দুইশ বছরেরও বেশি সময়ের। সময়ের সাথে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং মানবিক মূল্যবোধ বিকাশের সক্রিয় প্রয়াস বাংলা প্রাইমারের গতিপথকে প্রভাবিত করেছে। বাংলা প্রাইমার সমকালীন আর্থসামাজিক এবং রাজনৈতিক সংস্কারের আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে এগিয়ে গিয়েছিল। আধুনিক বাংলা ভাষা-কাঠামো ও বাংলা প্রাইমার নিয়ে যারা যুক্ত হয়েছেন, তাদের আগ্রহের মূলে মাতৃভাষায় সর্বজনীন শিশুশিক্ষা তথা সামগ্রিক সমাজচিন্তার প্রভাব স্পষ্ট উপলব্ধি করা যায়। আধুনিক বাংলা ভাষায় সর্বজনীন শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে এক একটি প্রাইমার মাইলফলকের মতো কাজ করেছে।
চিত্রায়ণ, অঙ্গসজ্জা, মুদ্রণকৌশল, প্রতীক নির্বাচন ও উপস্থাপন এবং সর্বোপরি বৃহত্তর পাঠকশ্রেণী নির্ধারণের মাধ্যমে বাংলা প্রাইমারের সার্বজনীন হয়ে ওঠার প্রবণতা আসলে এর সমকালীন ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়। হাতে লেখা পুঁথিনির্ভর কিংবা ধর্মীয় টোল-মক্তবকেন্দ্রিক গুরুমুখী শিক্ষার প্রথা থেকে সর্বজনীন বিদ্যালয়কেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থায় উত্তরণে বাংলা প্রাইমারের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। বিদ্যালয়ের গণ্ডির বাইরেও লেখাপড়া চর্চার কাজটি সহজ করে দেয় প্রাইমার। বিশেষত নারীশিক্ষার ক্ষেত্রে এর তাৎপর্য ব্যাপক।
আধুনিক বাংলা ভাষার বিকাশ ও প্রায়োগিক গবেষণা বাংলা প্রাইমারের বিকাশের সমান্তরালে এগিয়েছে। এই অঞ্চলে মুদ্রণ ও প্রকাশনার বিকাশে বাংলা প্রাইমারের ব্যবসায়িক সফলতার গুরুত্ব কম নয়। প্রাইমারের বাজার বৃদ্ধির সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বিস্তার ঘটেছে ছাপাখানার সংখ্যা এবং মুদ্রণকৌশল। বাংলা প্রাইমারের সূচনা ও বিকাশকে বাঙলার নবজাগৃতির পটভূমিতে উপলব্ধি করার যথেষ্ট রসদ আছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ইতিহাসের মূল্যবান দলিল হিসেবে সংরক্ষিত বা আলোচিত হয়নি।
এ বিষয়ে আমার এই কাজটি বাংলা প্রাইমারের অবয়ব, চিত্রায়ণ ও মুদ্রণের পরিসরে সীমিত। এই প্রকাশনাটি নকশা ও মুদ্রণসংশ্লিষ্টদের কাছে সহায়ক হতে পারে। কিন্তু বাংলা প্রাইমারের সামগ্রিক পর্যালোচনার পরিসর আরো অনেক বিস্তৃত এবং গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রকাশনার সুবাদে যদি বাংলা প্রাইমারের বিষয়ে তরুণদের কৌতূহল সৃষ্টি হয়, আশা করব তা কেবল কারিগরি বিষয়েই সীমিত থাকবে না এবং এ বিষয়ে তাত্ত্বিক ও প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণাকে উৎসাহিত করবে।
স্বজন ও সুহৃদদের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা আমাকে এ ধরনের ভাবনা ও প্রকাশনার ধারাবাহিকতায় অনুপ্রাণিত করেছে। এবারও ব্যতিক্রম নয়। বাংলা মুদ্রণ ও প্রকাশনার কারিগরি বিষয়ে সম্পূরক ধারণার জন্য এই প্রকাশনাকে কেন্দ্র করে আমার বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীদের সাথে নিয়ে একটি প্রদর্শনীর উদ্যোগ নিয়েছি। এর সবটাই ব্যক্তিগত প্রয়াসের ফল। কারিগরি দিকের বাইরে তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ বা অ্যাকাডেমিক নিরীক্ষার সুযোগ এক্ষেত্রে ছিল না। কার্যত প্রকাশনাটির মূল্যায়ন ও মানোন্নয়নে পাঠকের ওপরই নির্ভর করতে হবে। অতএব এ বিষয়ে যেকোনো সমালোচনা, পরামর্শ, সহযোগিতার অধিকার পাঠকের এবং পরবর্তী সংস্করণে ভুলত্রুটি সংশোধন, পরিমার্জন, পরিবর্ধনের দায়িত্ব আমার।
এই প্রেক্ষিতে সাফল্য এবং সীমাবদ্ধতাসহ প্রকাশনাটির অংশীদারিত্ব পাঠকের সাথে ভাগ করে কাজটিকে এগিয়ে নেওয়ার আশা রাখছি।
Book Name : | বর্ণমালা । Bangla Alphabet Book Collection |
Authors : | সব্যসাচী হাজরা |
Publisher: | Inhouse book |
Edition: | 1st Edition, April 2024 |
ISBN Number: | 978-984-97730-6-1 |
Total Page | 276 |
Sabyasachi Hazra did his bachelor's and master's degrees in Fine Arts (Drawing and Painting) from the Institute of Fine Arts of the University of Dhaka. A prolific illustrator. with around 3,000 book cover designs under his belt, Sabyasachi has worked as the creative director for several dailies and weeklies.