জগদীশচন্দ্রের প্রধান পরিচয় তিনি বিজ্ঞানী। যে কাজ মার্কনিকে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত করেছে, সে কাজের প্রথম কারিগর যে জগদীশচন্দ্র, সে কথাও সম্প্রতি প্রমাণিত হয়েছে।
বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্রের সাহিত্য—প্রতিভা ছিল অসামান্য। তাঁর সময়কার একাধিক বিখ্যাত সাহিত্য সাময়িকীতে তিনি নানা বিষয়ে কলম ধরেছেন। ‘কুন্তলীন’ পুরস্কার জয়ী জগদীশচন্দ্র শুধু সাহিত্যের জগতে বিচরণ করলেও যে স্মরণীয় খ্যাতি অর্জন করতে পারতেনÑসেই শংসাপত্র দিয়েছেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। সেই খ্যাতি তিনি অর্জন করেছেন। নইলে ‘অব্যক্ত’ সংকলনটির চাহিদা আজও অম্লান থাকত না। ১৩২৮ সালের আশ্বিন মাসে প্রথম এই বইটি প্রকাশিত হয়েছে। নানা প্রকাশনাসংস্থার পুস্তক তালিকায় আজও এই বইয়ের নাম সমান উজ্জ্বলতা বহন করে চলেছে।
বিজ্ঞানচর্চার কাহিনি ‘অব্যক্ত’—র সিংহভাগ নিবন্ধের বিষয় হলেও পাশাপাশি একাধিক ভিন্নধর্মী রচনা তিনি অন্তভুর্ক্ত করেছেন এই গ্রন্থে। সব মিলিয়ে বলতে হয়, বাংলা বিজ্ঞানসাহিত্যের ইতিহাসে এক অবশ্য—উচ্চারিত গ্রন্থের নাম ‘অব্যক্ত’।
Book Name : | অব্যক্ত |
Authors : | জগদীশ চন্দ্র বসু |
Publisher: | Inhouse book |
Edition: | 1st Edition, February 2019 |
ISBN Number: | 978-984-94103-1-7 |
Total Page | 136 |
জন্ম ৩০ নভেম্বর ১৮৫৮ বিক্রমপুর (বর্তমান মুন্সিগঞ্জ, বাংলাদেশ)। বিক্রমপুরের রাঢ়িখাল গ্রামে তাঁর পরিবারের প্রকৃত বাসস্থান ছিল। পিতা ভগবানচন্দ্র। জগদীশ চন্দ্র বসু একজন বাঙালি পদার্থবিদ, উদ্ভিদবিদ ও জীববিজ্ঞানী। তাঁর গবেষণা ফলে উদ্ভিদবিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে তোলে এবং ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবহারিক ও গবেষণাধর্মী বিজ্ঞানের সূচনা করে। ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স তাঁকে রেডিও বিজ্ঞানের জনক বলে অভিহিত করে। জগদীশচন্দ্র সর্বপ্রথম প্রায় ৫ মিলিমিটার তরঙ্গ দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট তরঙ্গ তৈরি করেন। এ ধরণের তরঙ্গকেই বলা হয় অতি ক্ষুদ্র তরঙ্গ বা মাইক্রোওয়েভ। আধুনিক রাডার, টেলিভিশন এবং মহাকাশ যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই তরঙ্গের ভূমিকা অনস্বীকার্য। মূলত এর মাধ্যমেই বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ তথ্যের আদান প্রদান ঘটে থাকে। তিনি বাংলা সাহিত্যানুরাগী ও রবীন্দ্রনাথের বিশিষ্ট বন্ধু। বঙ্গী—সাহিত্য—পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন (১৩২৩—২৫)। তাঁর বাংলা রচনাগুলি অব্যক্ত (১৯২০) নামক গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। তাঁর বাংলা চিঠিগুলি পত্রাবলী (১৯৫৮) নামে প্রকাশিত। ১৯৩৭ সালের ২৩ নভেম্বর এই বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী মৃত্যু বরণ করেন।