“চার পাশের আলো ক্ষীণ হতে হতে নিভে গেল। দর্শক ঠাসা হলঘর জুড়ে নেমে এল নীরবতা।
চেয়ারে বসে যারা টিকিয়া খাচ্ছিল, চিবোচ্ছিল মকাই, বন্ধ হলো তাও।
সকলেরই দৃষ্টি সামনের পর্দায়, যাকে বলা হয় রূপোলি পর্দা। কেননা, এর রঙ রুপোর মতো উজ্জ্বল সাদা।
পর্দার বুকে শুরু হয়ে গেল এক জাদুর খেলা। দেখতে পেলে, একটা বিজ্ঞাপনের ছবি চলছে। রঙিন অথবা সাদা-কালো। ছবিটাতে হয়তো বোঝানো হচ্ছে, ডঃ দাঁতওয়ালার টুথপেস্ট বা লাকি সাবান কেন সবার সেরা। কিম্বা, ধরো, দেখানো হচ্ছে সরকারি ফিল্ম ডিভিশন প্রযোজিত ভারতীয় সংবাদ বিচিত্রা। তাতে আছে নানা দৃশ্য : মন্ত্রীদের বক্তৃতা, জওয়ানদের কুচকাওয়াজ, বিক্ষোভকারীদের বাস পোড়ানো বা ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ক্রীড়ারত শিশুদের হাসিমুখ। অথবা প্রদর্শিত ছবিটি একটি রঙিন কাহিনিচিত্রও হতে পারে। এতে আছে একটি গল্প। আর আছে তোমাদের প্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী-অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খান্না অথবা ধর্মেন্দ্র, দেব আনন্দ। হেমা মালিনী, শর্মিলা ঠাকুর অথবা পারভীন বাবী। ছবি যাই দেখানো হোক না কেন, সব ক্ষেত্রেই রয়েছে ওই জাদুর খেলা। চলমান ছবির জাদু।”
Book Name : | কেমন করে সিনেমা তৈরী হয় |
Authors : | খাজা আহম্মদ আব্বাস |
Publisher: | Inhouse book |
Edition: | 1st Edition, August 2019 |
ISBN Number: | 9789849410393 |
Total Page | 0 |
খাজা আহম্মদ আব্বাস জন্ম ৭ জুন ১৯১৪। কে এ আব্বাস নামেই অধিক পরিচিত। ছিলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, ঔপন্যাসিক, এবং উর্দু, হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষার একজন সাংবাদিক। তিনি চারবার ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন, এবং আন্তর্জাতিকভাবে তার চলচ্চিত্রগুলো কান চলচ্চিত্র উৎসবে পালমে ডি’অর (গ্র্যান্ড প্রাইজ) জিতে নেয় (৩টি পালমে ডি’অর মনোনয়নপত্রের মধ্যে) এবং কার্লোভি ভারি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ক্রিস্টাল গ্লোব পুরস্কার জিতে নেন। পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার হিসাবে খাজা আহম্মদ আব্বাসকে ভারতীয় সমান্তরাল বা নব্য—বাস্তবসম্মত সিনেমাগুলির অগ্রদূত হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং একজন চিত্রগ্রাহক হিসেবে তিনি রাজ কাপুরের সেরা চলচ্চিত্র রচনার জন্য পরিচিত। তিনি যেসব চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য : নয়া সংসার (১৯৪১), চিত্রনাট্য, গল্প; ধারতি কি লাল (১৯৪৬), চিত্রনাট্যকার, পরিচালক, প্রযোজক; ড. কোতনিস কি অমর কাহানি (১৯৪৬), চিত্রনাট্যকার, গল্প; নেচে নগর (১৯৪৬), চিত্রনাট্যকার; আজ অর কাল (১৯৪৭), পরিচালক; আওয়ারা (১৯৫১), স্ক্রিন লেখক, ডায়ালগ; অ্যানহনি (১৯৫২), চিত্রনাট্যকার, সংলাপ, গল্প, পরিচালক, প্রযোজক; রাহি (১৯৫৩), পরিচালক; মুন্না (১৯৫৪), চিত্রনাট্যকার, পরিচালক, প্রযোজক; শ্রী ৪২০ (১৯৫৫), চিত্রনাট্যকার, সংলাপ, গল্প; জাগতে রাহো (১৯৫৬), চিত্রনাট্যকার। ১ জুন ১৯৮৭ সালে ৭২ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।