আমরা প্রতিদিন যা খাই-ভাত, ডাল, ভাজা, শুক্তো, চচ্চড়ি থেকে শুরু করে দই, মিষ্টি; এমনকি ফুচকা বা চাউমিন-এইসব খাবারের সৃষ্টি কথা নিয়ে এই বই- ‘বাংলার খাবার বাঙালির খাবার’। বাঙালির প্রিয় লুচি, কচুরি, শিঙাড়ার কথাও আছে এই গ্রন্থে। তথ্যের সঙ্গে সরস মন্তব্য মিলেমিশে সুখপাঠ্য হয়ে উঠেছে এই বই।
প্রতিটি খাবারের নামকরণ থেকে শুরু করে সবজি কাটার নিয়ম, মসলার অনুপানের মধ্যে রন্ধন সংস্কৃতির এক ইতিহাস লুকিয়ে আছে। আছে সামাজিক প্রেক্ষিতের কথা। যা সেই সব প্রসঙ্গ স্বাদু গদ্যে তুলে ধরা হয়েছে এখানে।
বাজারি বাণিজ্যের কারণে আমরা ক্রমশ ভুলে যেতে বসেছি আমাদের নিজস্ব, বাঙালির ঐতিহ্যময় খাওয়া দাওয়ার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি। এটা ঠিকই পিৎজা, চাউমিন, বার্গার ক্রমে আমাদের প্রিয় খাদ্যতালিকায় জাঁকিয়ে বসতে চলেছে। এরই মধ্যে আমাদের ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে সচেষ্ট হতে হবে। জানতে হবে আমাদের খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাস, খাদ্য ভাবনার যথার্থ প্রেক্ষিত। ‘বাংলার খাবার বাঙালির খাবার’ তেমনি এক সার্থক প্রচেষ্টা।
Book Name : | বাংলার খাবার বাঙালির খাবার |
Authors : | দেবাশিস মুখোপাধ্যায় |
Publisher: | Inhouse book |
Edition: | 2nd Edition, May 2024 |
ISBN Number: | 978-984-94103-4-8 |
Total Page | 160 |
দেবাশিস মুখোপাধ্যায় পেশায় গ্রন্থাগারিক হলেও পরিচয়ে গবেষক, পরিশ্রমে সংগ্রাহক হিসেবেও খ্যাতি দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের। ‘আজকাল’ দৈনিকপত্রের প্রাক্তন বরিষ্ঠ গ্রন্থাগারিক দুষ্প্রাপ্য বই, সিনেমা, গান, নথি, শিল্পচর্চা নিয়ে মেতে থাকেন সর্বক্ষণ। পড়েন বেশি, লেখেন কম। তবুও এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে ‘এলো কোথা থেকে’, চার খণ্ডে ‘মহাজীবন’, ‘জানেন? সিনেমা কুইজ’, ‘আট দেশ সাত কুঠি’, ‘খাই কিন্তু জানি কি’ নামের গ্রন্থগুলো। সম্পাদিত বইয়ের মধ্যে অন্যতম ‘চিরকালের সেরা : সুকুমার রায়’, ‘পথের পাঁচালি সৃজনের দুই মুখ : সত্যজিৎ ও বিভূতিভূষণ’। সত্যজিৎ রায়ের প্রবন্ধ সংকলনের বেশ কয়েকটি গ্রন্থের সহায়ক সম্পাদক রূপে কাজ করেছেন। অজানা, ভুলে যাওয়া, হারিয়ে যাওয়া রেফারেন্সের জন্যে সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, প্রকাশক, চলচ্চিত্রকাররা অনবরত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দে মু নামে সমাধিক পরিচিত দেবাশিস বাস করেন পশ্চিমবঙ্গের চন্দননগরে।