‘ক্ষীরের পুতুল’ রূপকথা ও লৌকিক কাহিনির এক অনুপম সংশ্লেষণ। অবনীন্দ্রনাথ তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে পরিবেশন করেছেন তাঁর সুকুমারমতি পাঠকদের জন্যে। এ লেখার আবেদন এমনই যে, তা কখনোই পুরোনো হয় না। তাই এ কাহিনি আজ ধ্রুপদি সাহিত্যের মর্যাদায় ভূষিত।
Book Name : | ক্ষীরের পুতুল |
Authors : | অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
Publisher: | Inhouse book |
Edition: | 1st Edition, August 2020 |
ISBN Number: | 978-984-92459-8-8 |
Total Page | 0 |
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জন্ম ৭ আগস্ট ১৮৭১। সুবিখ্যাত চিত্রশিল্পী এবং লেখক। দ্বারকানাথ ঠাকুরের তৃতীয় পুত্র গিরীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কনিষ্ঠ পুত্র। মাতা সৌদামিনী দেবী। অবনীন্দ্র বাল্যকাল থেকেই চিত্রশিল্পের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন কিছুটা পারিবারিক আবহাওয়ায় এবং মূলত সহজাত শিল্পবোধ থেকে। রবীন্দ্রনাথের ‘চিত্রাঙ্গদা’ও অলঙ্করণ করেন। এরপর কিছুকাল বিলাতি শিল্পীদের কাছে চিত্রবিদ্যা শিক্ষা করেন। অবনীন্দ্রনাথ আধুনিক ভারতবর্ষের এক শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পী। কিন্তু তাঁর সাহিত্যসৃষ্টিও অসামান্য। যে শিল্পবোধ তাঁর চিত্ররচনার ভিত্তি, সেই শিল্পবোধই তাঁর সাহিত্যরচনার মূল প্রেরণা। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ শকুন্তলা (১৮৯৫), ক্ষীরের পুতুল (১৮৯৬), রাজকাহিনী (১৯০৯), আলোর ফুলকি (১৯৪৭), বুড়ো আংলা (১৯৩৪), ঘরোয়া (১৯৪১)। ভারতশিল্প (১৯০৯), বাংলার ব্রত (১৯১৯), বাগেশ্বরী শিল্প—প্রবন্ধাবলী (১৯২২—২৭ রচিত, ১৯২৯—এ প্রকাশিত), ভারতশিল্পের ষড়ঙ্গ (১৯৪৪)। নিজস্ব কল্পনাভঙ্গি এবং ভাষাসৃষ্টির জন্য অবনীন্দ্রনাথ বাংলাসাহিত্যে চিরস্মরণীয়। তিনি ৫ ডিসেম্বর ১৯৫১ সালে ইহলোক ত্যাগ করেন।