বাস করেছেন পর্ণকুটিরে, শয্যা পেতেছেন ধূলি-ধূসরিত মাটির কোলে, গায়ে তুলেছেন অসংখ্য তালিশোভিত জীর্ণ বস্ত্রখণ্ড। দয়াল দরদী নবীজি (সা.) তাঁকে বলেছিলেন সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী, ফারুক। ইসলামের একনিষ্ঠ সেবকরূপে, ন্যায়নিষ্ঠ তাপস হিসেবে, আবার মানুষের পরম সহায় ও বন্ধু হিসেবে তাঁর তুলনা কোথায়? আমিরুল মুমিনিন হিসেবে মহাশক্তিধর, অর্ধ-পৃথিবীর অভূতপূর্ব মহাশাসকের জীবনী লিখতে কলম ধরেন সুবক্তা ও মননশীল লেখক হিসেবে খ্যাত বিচারপতি আবদুল মওদুদ। বাংলা সাহিত্যের অমূল্য এক রত্ন হযরত ওমর (রা.)-এর এই জীবনী।
Book Name : | হযরত ওমর |
Authors : | আবদুল মওদুদ |
Publisher: | Inhouse book |
Edition: | 1st Edition October 2024 |
ISBN Number: | 978-984-98948-5-8 |
Total Page | 192 |
বিচারপতি আবদুল মওদুদ একজন সুসাহিত্যিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে তার মধ্যে অনুসন্ধানী মন থাকায় তিনি ইতিহাস চর্চায় প্রবৃত্ত ছিলেন। বিশেষ করে ইসলামের ইতিহাস,তার দর্শন চিন্তা, সভ্যতা ও সংস্কৃতিমূলক রচনায় তিনি মনােনিবেশ । করেন। আবদুল মওদুদ ১৯০৮ সালে বর্ধমান জেলার খণ্ডকোষ থানার ওয়ারী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৩১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস শাস্ত্রে বি.এ.(অনার্স) সহ এম.এ.পাস করেন। ১৯৩২ সালে এল.এল.বি. ডিগ্রী অর্জনের পর ১৯৩৩ সালে বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসের (বিচার বিভাগ) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। একজন দক্ষ সৎ ও একনিষ্ঠ বিচারক হিসাবে সর্বমহলে তিনি সুপরিচিত ছিলেন। ১৯৬১ সালে তিনি পাকিস্তান সরকারের কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও ১৯৬৭ সালে ঢাকা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় দলের সদস্য হিসেবে যােগদান করেন। এ ছাড়াও তিনি যুক্তরাজ্য, ইরাক সফর করেন। চাকুরী জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তাঁর গভীর অধ্যয়নলব্ধ জ্ঞান, বিশ্লেষণ ক্ষমতা ও শক্তিশালী লেখনী তার রচনাসমূহকে সমৃদ্ধ করে তােলে। প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থ ও মধ্যবিত্ত সমাজের বিকাশ : সংস্কৃতির রূপান্তর (১৯৬৯), কামেল নবী (১৯৪৭), ইসলাম ইউরােপকে যা শিখিয়েছে (১৯৪৯), মুসলিম মনীষা (১৯৫৫), শাহ আবদুল লতিফ ভেটাই (১৯৬৭), হযরত ওমর (১৯৬৭)। ১৯৭০ সালের ২১ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।