বাঙালি-জীবনে ঐতিহাসিক পটভূমিকায় কিছু কিছু প্রসঙ্গ বারবার ঘুরে-ফিরে আসে। ১৯৪৭ সালের দেশবিভাগ, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম প্রভৃতি প্রসঙ্গ বাঙালির মনন ও চিন্তনে অনিবার্য অনুষঙ্গ। সম্পর্কটি নদীর সঙ্গে স্রোতের সম্পর্কের মতো। বর্তমান গ্রন্থে এসবের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া ঘটেছে পুলিশ-প্রসঙ্গের। পুলিশের বহুমুখী সৃজনশীল কর্মস্পৃহা, মানবিক সংগ্রাম ও অর্জনের কথা তুলে ধরা হয়েছে সযত্নে। কত বিষয়ই না লেখকের মনোজগতে আলোড়ন তুলেছে! তারই সজীব ও আন্তরিক প্রকাশ ঘটেছে নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধসমূহে। বাঙালির অনমনীয় সংগ্রামী মুক্তিচেতনাই সংকলনভুক্ত রচনার মূলসুর। অসাম্প্রদায়িক চেতনার উন্মেষে, মানবিক বোধ সৃজনে-পরিশীলনে এবং অনুসন্ধিৎসু জ্ঞানপিপাসু মানুষের ইতিহাস-চর্চায় এ গ্রন্থ সহায়ক হবেÑ এ আমাদের গভীর প্রতীতি।
Book Name : | পুলিশের আঙিনায় বঙ্গবন্ধু ও অন্যান্য প্রসঙ্গ |
Authors : | আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন |
Publisher: | Inhouse book |
Edition: | 1st Edition, February 2024 |
ISBN Number: | 978-984-98715-1-4 |
Total Page | 160 |
আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন ঝালকাঠী জেলার রাজাপুর উপজেলার নিজগালুয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ১৯৮১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা মো. মনোয়ার হোসেন এবং মাতা মমতাজ বেগম। তিনি যশোর জিলা স্কুল হতে মাধ্যমিক এবং নটর ডেম কলেজ হতে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০০৬ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে পুলিশ ক্যাডারে যোগদান করেন। অতঃপর চাকরিরত অবস্থায় হিউম্যান রাইটস্ ল-এর ওপর দ্বিতীয় মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। চাকরিজীবনে তিনি নোয়াখালী জেলা, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, কুমিল্লা জেলা, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, চুয়াডাঙ্গা জেলা এবং নৌ পুলিশে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ ছাড়াও দেশের বাইরে মালয়েশিয়া ও চীনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন প্রকাশনা, কমিউনিটি পুলিশিং কর্মকাণ্ড ও বার্ষিক পুলিশ সমাবেশে খেলাধুলা সংক্রান্ত প্রকাশনাসমূহের সম্পাদনা পর্ষদের একজন নিয়মিত সদস্য। এসব প্রকাশনাসমূহে তার বেশ কিছু লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তিনি পত্রিকার একজন কলাম লেখক। নিজ পৈতৃক ভিটায় তিনি মাস্টার জহির উদ্দিন মিয়া স্মৃতি পাঠাগার নামে একটি সমৃদ্ধ গণপাঠাগার এবং এম. এম. যুব কল্যাণ সংঘ নামে একটি সামাজিক সংগঠন গড়ে তুলেছেন। গণপাঠাগারটি ঝালকাঠীতে পরপর তিনবার জেলার সেরা বেসরকারি পাঠাগার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।