জানা-অজানা সিরিজ
.
১
বইঃ বই
লেখকঃ গোলাম মঈনউদ্দিন
.
.
২
বইঃ উৎসব
লেখকঃ আতোয়ার রহমান
.
.
৩
বইঃ শাড়ি
লেখকঃ হোসনে আরা শাহেদ
.
.
৪
বইঃ ফুটবল
লেখকঃ লুৎফর রহমান রিটন
.
.
৫
বইঃ খাদ্যভুবন
লেখকঃ সানাউল হক
.
.
৬
বইঃ চলচ্চিত্র
লেখকঃ তানভীর মোকাম্মেল
.
.
৭
বইঃ বিশ্বকোষ
লেখকঃ শফি আহমেদ
.
.
৮
বইঃ শিল্পবিপ্লব
লেখকঃ আবেদীন কাদের
.
.
৯
বইঃ রাগসংগীত
লেখকঃ মোবারক হোসেন খান
.
.
১০
বইঃ অনুবাদ
লেখকঃ জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
Book Name : | জানা-অজানা সিরিজ |
Authors : | আতোয়ার রহমান গোলাম মঈনউদ্দিন তানভীর মোকাম্মেল হোসনে আরা শাহেদ লুৎফর রহমান রিটন সানাউল হক শফি আহমেদ আবেদীন কাদের মোবারক হোসেন খান জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী |
Publisher: | Inhouse book |
Edition: | 1st Edition February 2025 |
ISBN Number: | NA |
Total Page | 0 |
জন্ম ১৯২৭ সালের ১৫ মার্চ, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায়। কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক-গবেষক, শিশুসাহিত্যিক ও অনুবাদক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৭ সালে বাণিজ্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিলাভ করেন। পেশাগত জীবনে ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৭০-এর অধিক। বিশ শতকের ষাটের দশকে গল্পকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান। পরে শিশুসাহিত্যিক হিসেবে সুপরিচিত হয়ে ওঠেন। বড়দের ও ছোটদের জন্য সমানভাবে লিখেছেন। ফোকলোর গবেষক হিসেবে তিনি বিদ্যায়তনিক মহলে স্বীকৃত। বেশ কয়েকটি বিশ্বখ্যাত বিদেশি গ্রন্থের অনুবাদও করেছিলেন। ১৯৭০ সালে শিশুসাহিত্যে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে সম্মানিত। মৃত্যু ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০০২।
গবেষক, প্রাবন্ধিক ও গ্রন্থ উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় কাজ করেছেন। সাহিত্য সমালোচনা, কবিতা, শিশুতোষ, অনুবাদ ও সম্পাদনা প্রভৃতি মিলে প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩২। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স ও এমএ করেন এবং ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া থেকে পিএইচডি। দুদফায় জাপানের ‘এশিয়ান কালচারাল সেন্টার ফর ইউনেস্ক’ থেকে বই উৎপাদন এবং গ্রন্থ উন্নয়ন বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেন। এক দশকেরও বেশি সময় এই প্রতিষ্ঠানের মুখপত্র ‘এশিয়া প্যাসিফিক বুক ডেভলোপমেন্ট জার্নাল’- এর বাংলাদেশ প্রতিনিধিও ছিলেন। দীর্ঘ ৩০ বছরের কর্মজীবনের পুরোটাই কেটেছে বাংলা একাডেমিতে, অবসরে যান পরিচালকের পদ থেকে। বর্তমানে সপরিবারে আমেরিকায় বসবাস করছেন।
জন্ম ৮ মার্চ ১৯৫৫, খুলনায়। আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান চলচ্চিত্রনির্মাতা ও লেখক। পড়াশোনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগে। চলচ্চিত্রের নন্দনতত্ত্ব, নির্মাণকৌশল ও দৃশ্যবিন্যাসের বিষয়ে তিনি একজন বিশেষজ্ঞ। এ পর্যন্ত কাহিনি ও প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে ছাব্বিশটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন এবং দশবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক। বর্তমানে বাংলাদেশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট -এর পরিচালক। উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র : হুলিয়া, নদীর নাম মধুমতী, চিত্রা নদীর পারে, লালসালু, লালন, রাবেয়া, জীবনঢুলী, রূপসা নদীর বাঁকে, ১৯৭১, সীমান্তরেখা প্রমুখ। প্রকাশিত বই : সিনেমার শিল্পরূপ, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, সিসিফাস ও উপন্যাসে ঐতিহ্যজিজ্ঞাসা, বেহুলা বাংলা ও অন্যান্য কবিতা, বাঙ্গালির মেধা ও অন্যান্য প্রবন্ধ, চলচ্চিত্র নন্দনতত্ত্ব ও বারোজন ডিরেক্টর, ভ্রমণকথা ও উপন্যাসত্রয়ী বিষাদনদী।
জন্ম ১৯৪৩ সালে, লক্ষ্মীপুরে। দীর্ঘ ৪০ বছর ঢাকার শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নিয়মিত লিখতেন প্রবন্ধ, রম্যরচনা ও গল্প। চরিত্রচিত্রণ, রূপান্তর, সম্পাদনা, শিশুতোষ, পাঠ্যপুস্তক—সব মিলিয়ে তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৮৬। শাড়ি নিয়ে বাংলা ভাষায় লেখা গবেষণাগ্রন্থের ক্ষেত্রে তাঁর শাড়ি বইটি পথিকৃৎ। বাংলা একাডেমি, এশিয়াটিক সোসাইটি, বিজ্ঞান সংস্কৃতি পরিষদ, বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ, একুশে চেতনা পরিষদসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের আজীবন সদস্য ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এবং গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যও ছিলেন। মৃত্যু ৭ জুলাই, ২০২২।
জন্ম ১ এপ্রিল ১৯৬১, ঢাকায়। ছড়াকার ও শিশুসাহিত্যিক। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা শতাধিক। বাংলা একাডেমির ফেলো ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের উদ্যোক্তা সদস্য। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক সাপ্তাহিক পত্রিকায় বিভাগীয় ও নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত কিশোর পত্রিকা ‘আসন্ন’ ও ছোটদের মাসিক সাময়িকী ‘ছোটদের কাগজ’ সম্পাদনা করেছেন। টেলিভিশনের এক উপস্থাপক এবং নাট্যকার হিসেবেও খ্যাতিমান। জাপানস্থ বাংলাদেশ দূতবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শিশুসাহিত্যে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকে সম্মানিত। ২০০২ থেকে স্ত্রী শার্লি রহমান এবং একমাত্র কন্যা সাবরিনা নদীসহ কানাডায় বসবাস করছেন। বর্তমানে কন্যা নদী তার জীবনসঙ্গী ডেভিড সৃজন বিশ্বাসের সঙ্গে আমেরিকার হিউস্টনে নিবাস গড়েছেন।
কবি ও অনুবাদক। জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার চাউরা গ্রামে, ১৯২৪ সালের ২৩ মে। প্রকৃত নাম আল মামুন সানাউল হক। ১৯৪৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন এবং ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত সেখানে অধ্যাপনা করেন। পরে তিনি একজন আমলা হিসেবে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। বিশ শতকের চল্লিশের দশকে কবিখ্যাতি পান। কবিতার পাশাপাশি প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও ভ্রমণকাহিনিও লিখেছেন। সাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৪) ও একুশে পদক (১৯৮৩) লাভ করেন। মৃত্যু ১৯৯৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি, ঢাকায়।
লেখালেখির জগতে চোখে পড়ার মতো কোনো নাম নয়। প্রবলভাবে অনুরুদ্ধ বা তাগিদপ্রাপ্ত না হলে কোনো কিছু লেখেননি। উচ্চশিক্ষা স্তরে শিক্ষকতা করেছেন চার দশকেরও বেশি। প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সদাসক্রিয়। মঞ্চনাটকের প্রতি সবিশেষ অনুরাগী। রবীন্দ্রনাথ ও শেকসপিয়র ছাড়াও পঠন-পাঠনের ক্ষেত্রে তাঁর অগ্রাধিকার-দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ইউরোপীয় নাটক। International Theatre Institute Worldwide এবং International University Theatre Association-এর শিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সঙ্গে তিনি তিন দশকের অধিককালব্যাপী যুক্ত। তাঁর প্রধান অন্বেষার এলাকা হলো উত্তর- উপনিবেশিক চিন্তা-চর্চা, তুলনামূলক সাহিত্য, সমাজতাত্ত্বিক বুননে রচিত উপন্যাস ও প্রান্তজনীন সংস্কৃতি। ১১ গ্রন্থ ছাড়াও, দেশে-বিদেশে বাংলা ও ইংরেজিতে প্রকাশিত তাঁর রচনার সংখ্যা শতাধিক।
জন্ম ১৯৫৫ সালে, শরীয়তপুরের জাজিরায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক (সম্মান) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর। ১৯৮২ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদান। ১৯৯৩ সালে পড়াশোনার জন্য নিউইয়র্ক যান। তখন থেকেই নিউইয়র্ক প্রবাসী। নিউইয়র্কের সিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগে এমএ এবং নিউ স্কুল থেকে রাজনৈতিক সমাজতত্ত্বে এমফিল এবং পিএইচডি। ২০০১ সাল থেকে নিউজার্সির এসেক্স কলেজে সমাজবিজ্ঞান পড়ান। এ ছাড়া ২০০৫ সাল থেকে খণ্ডকালীন অধ্যাপক হিসেবে সমাজবিজ্ঞান পড়ান নিউইয়র্কের সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। গত শতাব্দীর সত্তরের দশকের মাঝামাঝি থেকে লেখালেখির শুরু। মূলত প্রবন্ধ লেখেন। গবেষণা, পড়াশোনা এবং আগ্রহের বিষয় সাহিত্য ও সমাজবিজ্ঞান। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১৪।
জন্ম ১৯৩৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তাঁর বাবা ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী। মা উমার উন-নেসা। তাঁর চাচা উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ। কুমিল্লা জেলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে বিএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬২ সালে বেতারের অনুষ্ঠান প্রযোজক হিসেবে কর্মজীবনের শুরু। পরে তিনি বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক হিসেবে ৩০ বছর কর্মরত ছিলেন। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১৩৭টি। বাংলা একাডেমি পুরস্কার, রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারে সম্মানিত। মৃত্যু ২৪ নভেম্বর, ২০১৯।
জন্ম ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৮। শিক্ষাবিদ, লেখক ও গবেষক। কৃতী ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করেছেন বাঁকুড়া, জলপাইগুড়ি ও যশোহর জিলা স্কুলে, প্রেসিডেন্সি কলেজ (কলকাতা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অক্সফোর্ডে। ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা করেছেন রাজশাহী (১৯৫৫-৭৩) ও জাহাঙ্গীরনগর (১৯৭৩-৯৭) বিশ্ববিদ্যালয়ে। শেষোক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন পরপর দুই মেয়াদে, আট বছর (১৯৭৬-৮৪)। প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ছিলেন (১৯৯০-৯১)। লেখালেখির শুরু কবিতা দিয়ে। বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় কবিতা, প্রবন্ধ, অনুবাদ ও গবেষণামূলক অনেক রচনা তাঁর রয়েছে। বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ স¤ §াননা স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন। মৃত্যু ১১ নভেম্বর, ২০১৪।