কবি সিকদার আমিনুল হককে আমরা সবাই সমিত স্বরের কবি বলেই জানি। তিনি ‘বাতাসে লাশের গন্ধ’ বা ‘ভাত দে হারামজাদা’র মতো প্রতিবাদী নন। তিনি ওরকম উচ্চকিত নন কিন্তু প্রতিবাদবিমুখও নন। তিনি অনেক প্রতিবাদী কবিতা লিখেছেন। সমিত স্বরের হলেও তার দু’একটি উচ্চকিত কণ্ঠের কবিতা রয়েছে। যেমন বিভক্ত পার্টি-লাইন (১৯৯৭ : ২৪)। কবিতায় তিনি লিখেছেন : এতদূর কেন গেলি?- তোকে না বলেছি/পার্টি লাইনেও আজ তিনভাগ। একভাগে, জারজের আস্ত বাচ্চারা! ওদিকে/শাদা পোশাকের সাপ, দূরন্ত গোখরা/সোর্সরা ঘুরছে এক মাস থেকে (১৯৯৭ : ২৪)। কবিতাটিতে তিনি আবার লিখেছেন : তোর জননী কি একা তোর? আমরা আছি না?/সমস্ত ভাতের থেকে হাত উঠে গ্যাছে! খুনের বদলা/খুন, তার আগে শোন্ পানিও হারাম.../ঘৃণা না খঞ্জর এটা, বুঝি না আওয়াজে!/খেলবো মুণ্ডুর লেখা, শিশ্ন কেটে নেবো... (১৯৯৭ : ২৪)।
১৯৭৫ সালে এদেশে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ হত্যাকাণ্ডে তিনি নিশ্চুপ থাকতে পারেননি। ঐ ঘটনার পর তিনি অসংখ্য কবিতা লিখেছেন। সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের পতনের পর তিনি আহত মনে অনেকগুলো কবিতা লিখেছেন, প্রতিবাদ করেছেন।
তিনি সোভিয়েতপন্থি সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন। কবি সিকদার আমিনুল হকের কবিতায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অগণিত প্রতিবাদী কণ্ঠ। সেসব বিষয়গুলো খুব সূচারুরূপে তুলে এনেছেন কবি শামীম রফিক। বইখানি সকলের ভালো লাগলে স্বার্থক হবে এই শ্রম ও সাধনা।
Book Name : | সিকদার আমিনুল হকের কবিতায় সাম্রাজ্যবাদবিরোধী চেতনা |
Authors : | শামীম রফিক |
Publisher: | Inhouse book |
Edition: | 1st Edition, November 2023 |
ISBN Number: | 978-984-98112-0-6 |
Total Page | 64 |
নব্বইয়ের অত্যন্ত পরিশ্রমী, মেধাবি, নান্দনিক, ছান্দসিক, রোমান্টিক, ক্ষুধা, মৃত্যুতাড়িত ও বিষণ্ণতার কবি শামীম রফিক। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া থানার আছিম এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ‘অরণ্য’ নামক একটি মুক্তকাগজ সম্পাদনা করে আসছেন সেই ১৯৯৭ সাল থেকে।