মিস কেন্টন খানিক থামলেন। তারপর আবার বলা শুরু করলেন, কিন্তু তার মানে এই নয়, মাঝে মাঝে কোনো নির্জন মুহূর্ত আসে না। অবশ্যই আসে; তখন নিজের সাথে কথা বলা চলে, ‘জীবন নিয়ে আমি কী ভুল করেছি!’ তখনই আলাদা একটা জীবনের কথা মনে হয়, আরেকটা অধিকতর ভালো জীবন পাওয়া যেত-এমন মনে হয়। উদাহরণ হলো, আপনার সাথে একটা জীবন কাটানোর কথা আমার ভাবনা জুড়ে থাকে। আপনি আমি মিলে সে জীবনটা গড়তে পারতাম। তখনই আমি অস্থির হয়ে যাই, সামান্য ব্যাপারে রেগে বাড়ি পছড়ে চলে যাই। কিন্ত প্রতিবারই বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার পর পরই বুঝতে পারি, আমার আসল জায়গা আমার স্বামীর কাছে। মোটের ওপর ঘড়ির কাঁটা আর পেছনের দিকে ফেরানোর উপায় নেই। যা ঘটতে পারত কিন্তু ঘটেনি তা নিয়ে পড়ে থাকা যায় না। বুঝতে হবে, অন্যরা যা পেয়েছে আমি তার চেয়ে কম পাইনি, বরং বেশি পেয়েছি জীবনে। সুতরাং কৃতজ্ঞ থাকতে হবে।
Book Name : | দ্য রিমেইনস অফ দ্য ডে |
Authors : | কাজুও ইশিগুরো |
Publisher: | Inhouse book |
Edition: | 1st Edition, February 2019 |
ISBN Number: | 978-984-94102-8-7 |
Total Page | 0 |
কাজুও ইশিগুরোর জন্ম ১৯৫৪ সালে জাপানের নাগাসাকিতে। পাঁচ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে তিনি ইংল্যান্ড চলে যান। দক্ষিণ ইংল্যান্ডে ছোট শহর গিল্ডফোর্ডে বসবাস শুরু করে তাঁদের পরিবার। এরপর উনত্রিশ বছর তিনি আর জাপানে ফেরেননি। সাতাশ বছর বয়সে তিনি প্রথম উপন্যাস ‘আ পেল ভিউ অব হিলস’ প্রকাশ করেন। এ উপন্যাসটির পটভূমি প্রধানত নাগাসাকি। প্রথম উপন্যাস দিয়ে পাঠকদের মনোযোগ তেমন একটা আকষর্ণ করতে পারেননি। দ্বিতীয় উপন্যাস ‘অ্যান আর্টিস্ট অব দ্য ফ্লোটিং ওয়ার্ল্ড’ প্রকাশ করেন ১৯৮৬ সালে। তাঁর এ উপন্যাসটি ইংল্যান্ডের মর্যাদাসম্পন্ন হোয়াইটব্রেড পুরস্কার পায়। তাঁর তৃতীয় উপন্যাস ‘দ্য রিমেইনস অব দ্য ডে’ প্রকাশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পাঠকের কাছেও গ্রহণযোগ্যতা পান ইশিগুরো। অন্য কোনো ভাষায় অনূদিত হওয়ার আগেই শুধু ইংরেজি সংস্করণের বিক্রি দশ লক্ষ কপি ছাড়িয়ে যায়। তাঁর এ উপন্যাসটি ১৯৮৯ সালে বুকার পুরস্কারও পায়। অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এমপায়ার অফিসারের সম্মান লাভ করেন তিনি। তাঁর প্রতিকৃতি ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে শোভা পেতে থাকে। ইশিগুরো ২০১৭ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।