প্রেমের কবিতা সমগ্র

(0 Reviews)


Sold By:
Inhouse book

Price:
৳1,600.000
Discount Price:
৳1,120.000

Quantity:

Total Price:
Share:
Sold By
কবিবিডি ডট কম
(0 customer reviews)
Book Name : প্রেমের কবিতা সমগ্র
Authors : রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ     শহীদ কাদরী     আবিদ আজাদ     আবুল হাসান     সিকদার আমিনুল হক    
Publisher: Inhouse book
Edition: NA
ISBN Number: NA
Total Page 0
  • রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

    কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর জন্ম ১৬ অক্টোবর ১৯৫৬ (২৯ আশ্বিন ১৩৬৩)। পিতা ডা. শেখ ওয়ালীউল্লাহ ও মাতা শিরিয়া বেগম। পৈতৃক নিবাস বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার অন্তর্গত সাহেবের মেঠ গ্রামে। শৈশব কেটেছে নানাবাড়ি মিঠেখালি গ্রামে ও মোংলায়। পড়াশুনা করেছেন মোংলার সেন্ট পলস হাইস্কুল, ঢাকার ওয়েস্ট এন্ড হাইস্কুল, ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্কুল—জীবন থেকেই লেখালেখির শুরু। সম্পাদনা করেছেন বেশ কয়েকটি সাহিত্যপত্র। ‘সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট’ ও ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ’ গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা। ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ’—এর প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সম্পাদক। গীতিকার হিসেবেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ১৯৮৯ সালে মিঠেখালিতে গড়ে তোলেন ‘অন্তর বাজাও’ নামে সংগীত দল। কবির জীবদ্দশায় প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ৭টি—উপদ্রুত উপকূল (১৯৭৯), ফিরে চাই স্বর্নগ্রাম (১৯৮১), মানুষের মানচিত্র (১৯৮৪), ছোবল (১৯৮৬), গল্প (১৯৮৭), দিয়েছিলে সকল আকাশ (১৯৮৮), মৌলিক মুখোশ (১৯৯০)। মৃত্যুর পর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ এক গ্লাস অন্ধকার (১৯৯২), কাব্যনাট্য বিষ বিরিক্ষের বীজ (১৯৯২) ও গল্পগ্রন্থ সোনালি শিশির (২০০৫)। এছাড়া তাঁর সমগ্র রচনা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে রুদ্রসমগ্র। উপদ্রুত উপকূল ও ফিরে চাই স্বর্নগ্রাম কাব্যগ্রন্থের জন্য ‘মুনীর চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার’ প্রাপ্তি। ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ গানের জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি প্রদত্ত শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ। ১৯৯১ সালের ২১ জুন (০৭ আষাঢ় ১৩৯৮) ঢাকায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে এই প্রতিভাবান তরুণ কবি মাত্র ৩৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

  • শহীদ কাদরী

    ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট কলকাতার পার্ক সার্কাস এলাকায় শহীদ কাদরীর জন্ম। ১৯৪৬—এর দাঙ্গা ও ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগের পর শহীদ কাদরীদের পরিবারটি পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে পূর্ববঙ্গে আসার উদ্যোগী হলেও দেশ ছাড়ে ১৯৫২ সালে। তাঁর বাবা খালেদ ইবনে আহমেদ কাদরী সেই সময়ের ‘জুটবোর্ড’—এর চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৯৫০ সালে শহীদ কাদরীর বাবার মৃত্যু হলে নানা টানাপোড়েন শেষে শহীদ কাদরীর মা মাহমুদা কাদরী তিন সন্তান নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। অন্য দুই সন্তান হলেন শাহেদ কাদরী, নাফিজা কাদরী। এরপর প্রায় তিন দশক শহীদ কাদরী ঢাকা শহরে অবস্থান করেন। ১৯৭৮ সাল থেকে তাঁর প্রবাস জীবন শুরু হয়। তিনি বার্লিন, লন্ডন, বোস্টন এবং মৃত্যুর পূর্বপর্যন্ত নিউইয়র্কে বসবাস করেছেন। বিচিত্র পেশায় সংশ্লিষ্ট হলেও কোথাও বেশি দিন থিতু থাকেননি। মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে শহীদ কাদরী প্রথম কবিতা ছাপা হয় বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত কবিতা পত্রিকায়। তার দীর্ঘ কাব্যজীবনে প্রকাশিত কাব্যের সংখ্যা ৪টি। পঁচিশ বছর বয়সে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কাব্য উত্তরাধিকার (১৯৬৭)। এরপর ১৯৭৪ সালে তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা, কোথাও কোনো ক্রন্দন নেই এবং প্রবাসে থাকাকালীন বেরোয় আমার চুম্বনগুলো পেঁৗছে দাও (২০০৯)। এই চারটি গ্রন্থে সন্নিবেশিত কবিতার সংখ্যা ১২২টি। পরবর্তীতে তিনি আরও চারটি কবিতা লেখেন। বাংলা কবিতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য শহীদ কাদরী বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৩), একুশে পদক (২০১১) লাভ করেন। শহীদ কাদরী ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।

  • আবিদ আজাদ

    No avaliable information about আবিদ আজাদ.

  • আবুল হাসান

    আবুল হাসান ১৯৪৭ সালের ২৭ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ার বর্নি গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরের ঝনঝনিয়া গ্রামে। তিনি ঢাকার আরমানিটোলা সরকারি বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৩ সালে এসএসসি এবং ১৯৬৫ সালে বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে ভর্তি হলেও মধ্যপথে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার ইতি ঘটান। ১৯৬৯ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের বার্তা বিভাগে যোগদানের মাধ্যমে শুরু হয় তাঁর কর্মজীবন। পরবর্তীকালে দৈনিক গণবাংলা (১৯৭২—১৯৭৩), দৈনিক জনপদ (১৯৭৩—৭৪) পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আবুল হাসানের প্রকাশিত গ্রন্থ : রাজা যায় রাজা আসে (১৯৭২), যে তুমি হরণ করো (১৯৭৪), পৃথক পালঙ্ক (১৯৭৫)। তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয় ‘আবুল হাসানের অগ্রন্থিত কবিতা’ (১৯৮৫), কাব্যনাট্য ‘ওরা কয়েকজন’ (১৯৮৮), ‘আবুল হাসানের গল্প’ (১৯৯০)। জীবদ্দশায় আবুল হাসান উল্লেখযোগ্য কোনো পুরস্কার পাননি। মরণোত্তর পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৫), একুশে পদক (১৯৮২)। আবুল হাসান ১৯৭৪ সালের ১৯ নভেম্বর জার্মানির বার্লিন যান চিকিৎসার জন্য, ফিরে আসেন ১৯৭৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ১৯৭৫ সালের ২৬ নভেম্বর মাত্র আটাশ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

  • সিকদার আমিনুল হক

    সিকদার আমিনুল হক ১৯৪২ সালের ৬ ডিসেম্বর কলকাতার কাচড়াপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। পৈত্রিক নিবাস কুমিল্লার মতলব থানার মাদারতলি গ্রামে। পিতা ছিলেন ভারতীয় রেলওয়ের ইঞ্জিনিয়ার। সেই সূত্রে শৈশব ও কৈশোর কেটেছে কলকাতা আসামসহ অবিভক্ত ভারতের বিভিন্ন শহরে। ভারত বিভাগের পর পিতার চাকরির বদলির সূত্রে বাংলাদেশেরও বহু স্থানে বসবাসের সৌভাগ্য হয়েছে। তবে শৈশবের উল্লেখযোগ্য একটা সময় কেটেছে নানাবাড়ি মুন্সিগঞ্জ এবং চাঁদপুরে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ করেছেন ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে বিএ (১৯৬৫) পাসের মধ্য দিয়ে। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক একটি উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন বিভাগে চাকরির মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু। নানা ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। কিন্তু কোথাও থিতু হতে পারেননি। বন্দর বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান, ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটিং ফার্ম থেকে শুরু করে কাপড়ের কল স্থাপনÑ কত কিছু করেছেন। ‘সাপ্তাহিক বিপ্লব’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন যথেষ্ট সাফল্যের সঙ্গে। ষাটের দশকে প্রকাশিত ‘স্বাক্ষর’—এর প্রথম সংখ্যার অন্যতম সম্পাদক ছিলেন তিনি। বেঁচে থাকার শেষ কয়েকটি বছর লেখালেখি, বিশেষত কবিতা লেখায়ই মগ্ন থেকেছেন। তাঁর প্রকাশিত কাব্যের সংখ্যা ১৭। প্রবন্ধ গ্রন্থের সংখ্যা ২টি। জীবদ্দশায় বেরিয়েছে ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’। মৃত্যুর পর ‘অপ্রকাশিত অগ্রন্থিত কবিতা’ শীর্ষক একটি সংকলন এবং রচনাবলি বেরিয়েছে দুই খণ্ড। এছাড়া একটি ছড়াগ্রন্থ রয়েছে। পেয়েছেন আহসান হাবীব পুরস্কার (১৯৯৩), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৯৪)।

There have been no reviews for this product yet.