সাধারণভাবে প্রেমচন্দ (১৮৮০—১৯৩৬) আজ ভারতীয় সাহিত্যরসিক মহলে একটি সুপরিচিত নাম। তিনি উদুর্ ও হিন্দিতে ১৪টি উপন্যাস এবং প্রায় ৩০০ গল্প রচনা করেছেন। হিন্দির এই প্রথম ও শ্রেষ্ঠ কথা—সাহিত্যিকের সৃষ্টি যেমন অভিনব, তেমনি অভিনব তার বিষয়বস্তু—ভারতীয় কৃষক সমাজের মর্মন্তুদ কাহিনি। তাদের জীবনমন্থনের বিষ পরম উপাদেয় ভঙ্গিতে উপহার দিয়েছেন পাঠক সমাজকে। এরূপ অনন্য মানবদরদী, স্বদেশবৎসল চিত্তের সরস সাহিত্যবৃত্তির প্রতি সাহিত্যরসানুরাগী সমাজের মনে আকর্ষণ জাগা খুবই স্বাভাবিক। এই আকর্ষণ চরিতার্থ করার সহজ উপায় প্রেমচন্দের সাহিত্য পাঠ। অন্তত অনুবাদ পাঠ। ভারতীয় অন্যান্য ভাষার মতোই বাংলাতেও সে প্রয়াস শুরু হয়েছে অনেক দিন। এমনকি হিন্দি এবং বাংলায় তাঁর রচিত কাহিনির চলচ্চিত্রায়নও মানুষের কাছে তাঁর বার্তা পেঁৗছে দিতে পেরেছে। এসব কারণেই প্রেমচন্দ আমাদের কাছে সুপরিচিত আপনজন।
কিন্তু শিশুদের কাছে প্রেমচন্দ অপরিচিতই রয়ে গেছেন। যদিও তাঁর রচিত শিশুসাহিত্যের অভাব নেই। তাঁর শিশুসাহিত্যের মধ্যে কুত্তে কী কহানী, জঙ্গল কী কহানিয়াঁ, রামচর্চা ও মন মোদক বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তারই পরিণাম বর্তমান গ্রন্থটি— প্রেমচন্দের শিশুতোষ গল্পসংগ্রহ।
Book Name : | প্রেমচন্দের শিশুতোষ গল্পসংগ্রহ |
Authors : | প্রেমচন্দ |
Publisher: | Inhouse book |
Edition: | 1st Edition, February 2020 |
ISBN Number: | 978-984-94238-0-6 |
Total Page | 128 |
আধুনিক হিন্দি ভাষা ও উর্দু ভাষার অন্যতম সফল লেখক প্রেমচন্দ ৩১ জুলাই ১৮৮০ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি উর্দু ও হিন্দি সাহিত্যের স্বনামধন্য কথাশিল্পী। তার আসল নাম ধনপত রায়। তবে মুন্সী প্রেমচন্দ নামেই তিনি পরিচিত। তাকে জীবনবাদী সাহিত্যিক বলা হয়। হিন্দি সাহিত্যে ‘উপন্যাস—সম্রাট’ হিসেবে খ্যাত প্রেমচন্দকে আধুনিক হিন্দি সাহিত্যের জনক বলেও অভিহিত করা হয়। ১৯১০ সালে বড়ে ঘরকী বেটি প্রকাশিত হলে উর্দু সাহিত্যে তিনি স্থায়ী আসন লাভ করেন। তার সর্বশ্রেষ্ঠ উপন্যাস গোদান। তার প্রায় যাবতীয় সাহিত্যকর্ম বাংলা ভাষায় অনূদিত ও বহুল পঠিত। উপমহাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য সাহিত্যিক এবং বিংশ শতাব্দীর ভারতীয় লেখকদের মধ্যে অন্যতম অগ্রগামী এই লেখক ৮ অক্টোবর, ১৯৩৬ সালে ভারতের বারানসিতে মৃত্যুবরণ করেন।