সব সৃজনশীল লেখালেখির একটা সাধারণ গন্তব্য থাকে সমাজের জন্য শোভন জমিন সৃষ্টি। এজন্য লেখকদের চেতনার ফেরিওয়ালা বললে বোধকরি খুব একটা বাড়িয়ে বলা হবে না। তবে ব্যতিক্রম যে নেই, সে কথা দিব্যি কেটে বলা যাবে না। তবে মানুষের সাধারণ প্রপঞ্চ ইতিবাচকতা ধারণ করা। সেই বিশ্বাস থেকে নানান জনের হরেকরকম লেখামঞ্জরি দৃশ্যমান হয়। আমিও লিখি অন্তরগরজ থেকে। নিজেকে সঠিক পথের দিশা দিয়ে স্বস্তিতে জীবন যাপনের জন্য। আর আমি তো শুধু আমার দেহ কাঠামোতে থিতু নই- চারপাশটা মিলেই আমি। তাই আমার কর্মের প্রভাবক আমার পরিমণ্ডল। যদি আমার লেখনি কালেভদ্রে চারপাশের মানুষের মনের ঈশাণ কোণে একটু দোলা দেয়-সেটাও মঙ্গলের।
জীবনের পঞ্চাশ পেরিয়ে এসে মনে হলো বিভিন্ন লেখার মধ্য থেকে কিছু লেখা বিষয়ভিত্তিক সৃচি করে এক মলাটে বন্দি করা জরুরি। এই জন্যই এই প্রবন্ধ গ্রন্থের অবতারণা। এই গ্রন্থের বিশেষত্ব হলো নানা মাত্রিকতা। সংস্কৃতির স্বরূপ সন্ধান থেকে, গ্রন্থ ও গ্রন্থমেলা, আঞ্চলিক ইতিহাসের স্মারক, প্রকৃতি ও পরিবেশ সর্বোপরি শোভন বাংলাদেশের সন্ধান করা হয়েছে। গ্রন্থের শ্রীবৃদ্ধির জন্য সংযোগ সাধন করা হয়েছে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবন, দর্শন ও ব্রত। এই তালিকায় যুক্ত আছেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত, কাজী নজরুল ইসলাম, কেদারনাথ মজুমদার প্রমুখ।
সংস্কৃতির বিবিধ অনুষঙ্গ নিয়ে প্রবন্ধের মাধ্যমে বারবার খোঁজ করা হয়েছে আমাদের ভূমিজ সংস্কৃতির। তাগিদ আছে মাটিবর্তী সংস্কৃতিতে ফেরত যাবার।
বাঙালির উৎসব, পার্বন-এর বাঁক বদলের পরিধিতে হেঁটে এই ভূমিতে আত্মীকৃত উৎসবের ব্যবচ্ছেদের প্রয়াস রয়েছে।
Book Name : | শোভন সংস্কৃতির রূপরেখা |
Authors : | খান মাহবুব |
Publisher: | Inhouse book |
Edition: | 1st Edition, February 2024 |
ISBN Number: | 978-984-98456-5-2 |
Total Page | 152 |
সংস্কৃতিমনস্ক অনুসন্ধিৎসু একজন মানুষ। ছাত্রাবস্থায় বিতর্ক, কবিতা আবৃত্তি ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় পেয়েছেন বহু পুরস্কার। ১৯৯২ সালে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অর্জন করেছেন জাতীয় পুরস্কার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন ‘পলল প্রকাশনী’। বহুমাত্রিক লেখালেখি থাকলেও তিনি প্রকাশনা ও আঞ্চলিক ইতিহাস বিষয়ক লেখালেখিতে অধিক আগ্রহী। রচিত গ্রন্থ : বইমেলা ও বই সংস্কৃতি, বই, বইমেলা ও প্রকাশনার কথকতা, টাঙ্গাইল জেলা পরিচিতি, টাঙ্গাইলের অজানা ইতিহাস, জানা-অজানা মালয়েশিয়া, পথে দেখা বাংলাদেশ ইত্যাদি পাঠক মহলে সমাদৃত। বাংলাদেশের প্রকাশনা জগতে তিনি একজন নেতৃস্থানীয় সংগঠক। বই, বই প্রকাশনা ও বইমেলা সংক্রান্ত জাতীয় আয়োজনের বিভিন্ন দায়িত্বে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে খান মাহবুবের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন স্টাডিজ’ বিভাগ চালুর অন্যতম উদ্যোগী তিনি। বর্তমানে বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। লেখকদের সংগঠন ‘লেখক সম্প্রীতি’র মহাসচিব তিনি। ব্যক্তি জীবনে স্ত্রী সাহানা মাহবুব, তাঁদের দু’কন্যা তানিসা মাহবুব ও লহরি নহর মাহবুব। ১৯৭১-এর ৩ মে নানাবাড়ি টাঙ্গাইলের করাতিপাড়ার সৈয়দ বাড়িতে জন্ম। পৈতৃক নিবাস কালিহাতী উপজেলার রাজাফৈর গ্রামে। বাবা স্বনামধন্য আইনজীবী মো. মোশারফ হোসেন, মা সৈয়দা জহুরা আখতার।