সিকদার আমিনুল হক আবহমান বাংলা কবিতার ধারায় একজন উল্লেখযোগ্য কবি। বিষয়, বলার ভঙ্গি, নির্মিতির দৃঢ়তা এবং বহুমাত্রিক বৈশ্বিক এবং দেশজ চেতনার মিশেলে তাঁর কবিতা হয়ে উঠেছে নান্দনিকতার এক শিল্পসরণি। তাঁর অগ্রজ ও সমকালীন কয়েকজন কবির মূল্যায়ন—
কবিতাগুলি শক্ত। তবে কবির মন সজাগ। অবশ্য আত্মসচেতনও বটে। (সিকদার আমিনুল হকের প্রথম কাব্য ‘দূরের কার্নিশ’ পাঠপ্রতিক্রিয়া)।
—বিষ্ণু দে
সুধীন্দ্রের মতো তুমি একটা বড় মাপের কাব্য বুনে তুলেছো, তাতে সুরের ওঠানামা আছে, ভাবের এবং রূপের বৈচিত্র্য এবং বিন্যাস আছে। (‘সতত ডানার মানুষ’ পাঠের পর সিকদার আমিনুল হককে লেখা এক চিঠিতে)।
—শিবনারায়ণ রায়
সিকদার আমিনুল হকের কবিতা আমাকে মুগ্ধ করে। বিশেষত তাঁর ‘সতত ডানার মানুষ’ কাব্যটি কৃপণ সমালোচকেরও প্রশংসা আদায় করতে সক্ষম হয়েছে।
—শামসুর রাহমান
তার মতো কেউ কবিতা লিখত না, লিখবে না।
—সৈয়দ শামসুল হক
একজন আধুনিক কবি মৃত্যুকে অনুধাবন করলে কবিতার মধ্যে যে রোমান্টিকতা থাকা প্রয়োজন তার সবটুকুই ছিল সিকদার আমিনুল হকের অনেক কবিতায়।
—ফজল শাহাবুদ্দীন
বাংলা কবিতায় সিকদার আমিনুল হকের স্বাক্ষর অনপনেয় কালির।
—বেলাল চৌধুরী
বাংলা ভাষা যতদিন বিরাজিত থাকবে, সিকদার আমিনুল হকের কবিতা ততদিন টিকে থাকবে।
—রফিক আজাদ
কবি গন্তব্যে পেঁৗছে গেছেন, পুষ্পের মতো রেখে গেছেন কোমল কবিতাগুচ্ছ।
—হুমায়ূন আজাদ
Book Name : | প্রেমের কবিতা সমগ্র । সিকদার আমিনুল হক |
Authors : | সিকদার আমিনুল হক |
Publisher: | Inhouse book |
Edition: | 1st Edition, February 2019 |
ISBN Number: | 978-984-93599-9-9 |
Total Page | 184 |
সিকদার আমিনুল হক ১৯৪২ সালের ৬ ডিসেম্বর কলকাতার কাচড়াপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। পৈত্রিক নিবাস কুমিল্লার মতলব থানার মাদারতলি গ্রামে। পিতা ছিলেন ভারতীয় রেলওয়ের ইঞ্জিনিয়ার। সেই সূত্রে শৈশব ও কৈশোর কেটেছে কলকাতা আসামসহ অবিভক্ত ভারতের বিভিন্ন শহরে। ভারত বিভাগের পর পিতার চাকরির বদলির সূত্রে বাংলাদেশেরও বহু স্থানে বসবাসের সৌভাগ্য হয়েছে। তবে শৈশবের উল্লেখযোগ্য একটা সময় কেটেছে নানাবাড়ি মুন্সিগঞ্জ এবং চাঁদপুরে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ করেছেন ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে বিএ (১৯৬৫) পাসের মধ্য দিয়ে। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক একটি উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন বিভাগে চাকরির মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু। নানা ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। কিন্তু কোথাও থিতু হতে পারেননি। বন্দর বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান, ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটিং ফার্ম থেকে শুরু করে কাপড়ের কল স্থাপনÑ কত কিছু করেছেন। ‘সাপ্তাহিক বিপ্লব’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন যথেষ্ট সাফল্যের সঙ্গে। ষাটের দশকে প্রকাশিত ‘স্বাক্ষর’—এর প্রথম সংখ্যার অন্যতম সম্পাদক ছিলেন তিনি। বেঁচে থাকার শেষ কয়েকটি বছর লেখালেখি, বিশেষত কবিতা লেখায়ই মগ্ন থেকেছেন। তাঁর প্রকাশিত কাব্যের সংখ্যা ১৭। প্রবন্ধ গ্রন্থের সংখ্যা ২টি। জীবদ্দশায় বেরিয়েছে ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’। মৃত্যুর পর ‘অপ্রকাশিত অগ্রন্থিত কবিতা’ শীর্ষক একটি সংকলন এবং রচনাবলি বেরিয়েছে দুই খণ্ড। এছাড়া একটি ছড়াগ্রন্থ রয়েছে। পেয়েছেন আহসান হাবীব পুরস্কার (১৯৯৩), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৯৪)।