শীতের উজ্জ্বল জ্যোৎস্নারাত, তখনো কুয়াশা নাবে নাই। বাঁশঝাড়ে তাই অন্ধকারটা তেমন জমজমাট নয়। সেখানে আলো-অন্ধকারের মধ্যে যুবক শিক্ষক একটি যুবতী নারীর অর্ধ-উলঙ্গ মৃতদেহ দেখতে পায়। অবশ্য কথাটা বুঝতে তার একটু দেরি লেগেছে, কারণ তা ঝট্ করে বোঝা সহজ নয়। পায়ের ওপর এক ঝলক চাঁদের আলো। শুয়েও শুয়ে নাই। তারপর কোথায় তীব্রভাবে বাঁশি বাজতে শুরু করে। যুবতী নারীর হাত-পা নড়ে না। চোখটা খোলা মনে হয়, কিন্তু সত্যিই হাত-পা নড়ে না। তারপর বাঁশির আওয়াজ সুতীব্র হয়ে ওঠে। অবশ্য বাঁশির আওয়াজ সে শোনে নাই।
Book Name : | চাঁদের অমাবস্যা |
Authors : | সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ |
Publisher: | Inhouse book |
Edition: | 1st Edition, September 2022 |
ISBN Number: | 978-984-96871-0-8 |
Total Page | 104 |
জন্ম : ১৫ আগস্ট ১৯২২। পিতামাতার দ্বিতীয় সন্তান তিনি। পারিবারিক পরিমণ্ডলের এই সাংস্কৃতিক আবহাওয়া সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র মনন ও রুচিতে প্রভাব ফেলেছিল। তাঁর আনুষ্ঠানিক ডিগ্রি ছিল ডিস্টিঙ্কশনসহ বিএ এবং অর্থনীতি নিয়ে এমএ ক্লাসে ভর্তি হয়েও শেষে পরিত্যাগ করেন। পঠদ্দশাতেই সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র কর্মজীবন শুরু হয়। বাধ্য হয়ে নয়, স্ব—ইচ্ছায়। তাঁর স্ত্রী ফরাসিনী। নাম : আন্—মারি লুই রোজিতা মার্সেল্ তিবো। তাঁদের দু’সন্তান। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ‘নয়নচারা’ [ছোটগল্প, ১৯৪৫], ‘লালসালু’ [উপন্যাস, ১৯৪৯], ‘বহিপীর’ [নাটক, ১৯৬০], চাঁদের অবাবস্যা [উপন্যাস, ১৯৬৪], ‘সুড়ঙ্গ’ [নাটক, ১৯৬৪], ‘তরঙ্গভঙ্গ’ [নাটক, ১৯৬৫], দুই তীর ও অন্যান্য গল্প [ছোটগল্প, ১৯৬৫], কাঁদো নদী কাঁদো [উপন্যাস, ১৯৬৮]। তিনি ১৯৫৫ সালে ‘বহিপীর’ নাটকের জন্য পি.ই.এন. পুরস্কার পান। ১৯৬১ সালে উন্যাসের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কারে সম্মানিত হন এবং ১৯৬৫—তে ‘দুই তীর ও অন্যান্য গল্প’ গ্রন্থের জন্য আদমজী পুরস্কার লাভ করেন। মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের ফলে মাত্র ঊনপঞ্চাশ বৎসর বয়সে, ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।