বইটি মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকার চেতনার নির্যাস। বইটিতে আছে ওয়েষ্ট মিনিষ্টার গণতন্ত্রের সারমর্ম তুলে ধরার প্রয়াস। সংসদীয় গণতন্ত্রে সরকার দলীয় এবং নির্দলীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের একটি সুষম মিশ্রণ। সংসদ, মন্ত্রিসভা এবং মন্ত্রণালয় হলো সরকারের শক্তিশালী তিনটি দলীয় প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে স্থানীয় সরকার এবং সাংবিধানিক সংস্থাগুলো সরকারের নির্দলীয় প্রতিষ্ঠান। দলীয় এবং নির্দলীয় কর্মকাণ্ডের এই সীমান্তরেখা না মানলে বিপন্ন হতে পারে বহুদলীয় গণতন্ত্র। স্থানীয় সরকার এবং সাংবিধানিক সংস্থাগুলোকে দলীয়করণ করলে অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারে সংসদীয় গণতন্ত্র। রাষ্ট্রে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার জন্য উচ্চকক্ষ, উচ্চশিক্ষা কমিশন, রাজনীতি কমিশন, স্থানীয় সরকার কমিশন, অপরাধ দমন কমিশন এবং সাংবিধানিক আদালতের প্রয়োজনীয়তা বইটিতে বিশদভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
সর্বদলীয় সমঝোতা বা চুক্তি সংসদীয় গণতন্ত্রের জীবনপ্রদীপ। এই সমঝোতা নির্মাণে সিভিল সমাজের বহুবিধ বুদ্ধিবৃত্তিক উদ্যোগের একটি হলো এই লেখালেখি। বইটির অন্যতম ফোকাস হলো শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান, রাষ্ট্রের জবাবদিহিতা এবং ভোট দেয়া ও ফেরত নেয়ার নাগরিক অধিকার। বইটি সত্যান্বেষী পাঠক ও এবং বেকার শিক্ষিত যুবসমাজের কাছে নতুন নতুন চিন্তার খোরাক হবে বলে আশা করা যায়।
Book Name : | সাংবিধানিক চেতনায় মুক্তির অন্বেষা |
Authors : | মুঃ আবদুল হাকিম |
Publisher: | Inhouse book |
Edition: | 1st Edition, February 2024 |
ISBN Number: | 978-984-98112-8-2 |
Total Page | 160 |
মুঃ আবদুল হাকিম ১৯৬২ সনের ১লা জুলাই চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার অন্তর্গত গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মুঃ মুসলিম হক এবং মাতার নাম মরিয়ম বেগম। তারা চার ভাই এবং পাঁচ বোন। রহনপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। মাধ্যমিক শিক্ষা অর্জন করেন রহনপুর এ বি হাইস্কুল থেকে এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অর্জন করেন রাজশাহী কলেজ ও রহনপুর ইউসুফ আলি কলেজ থেকে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৩ সনে ইংরেজিতে বি এ (সম্মান) এবং ১৯৮৪ সনে এম এ ডিগ্রি অর্জন করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আই বি এ থেকে একাউন্টিং এবং ফাইন্যান্সে মেজর সহ এক্সিকিউটিভ এম বি এ ডিগ্রি অর্জন করেন। পারিবারিকভাবে তিনি একটি পুত্র এবং একটি কন্যা সন্তানের জনক। তিনি ১৯৮৮ সনের ১৫ই ফেব্রুয়ারিতে বি সি এস(প্রশাসন) ক্যাডারে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার অফিসে যোগদান করেন। তিনি বিসিএস ৭ম ব্যাচ অর্থাৎ ৮৫ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। তিনি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন পিরোজপুর, নড়াইল, রাজবাড়ী, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী জেলা এবং নেসারাবাদ, কালিয়া ও রাজবাড়ী উপজেলায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে তিনি যথাক্রমে সোনাতলা, আত্রাই এবং সাঁথিয়া উপজেলায় কাজ করেন। অতিরিক্ত জেলা মাজিস্ট্রেট এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হিসেবে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কাজ করেন। তিনি তিন বছর রাজশাহী বিনিয়োগ বোর্ড এবং পাঁচ বছর বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাড়ে তিন বছর তিনি বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সরকারে তার সমগ্র কর্মকালের মেয়াদ ৩৩ বছর ৪ মাস ১৫ দিন। ২০২২ সনের জুলাই মাস থেকে তিনি যথারীতি অবসর জীবন যাপন করছেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, তুরস্ক, উজবেকিস্তান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড এবং ইতালি ভ্রমণ করেন।