‘আমি যতই বিশ্লেষণ করি না কেন,
দেখি, সবার শেষে এক কবি বসে আছে।’
-সিগমুন্ড ফ্রয়েড
১৯৬৭ থেকে ১৯৯৭-বামপন্থী রাজনীতির এই ঐতিহাসিক সময়টা বেছে নিলেও (এবং তার ব্যবহার যথাসাধ্য তথ্যনিষ্ঠভাবে করা সত্ত্বেও)- এটি ঐতিহাসিক উপন্যাস নয়। সামাজিক, আঞ্চলিক, ঐতিহাসিক বা মনস্তাত্ত্বিক এ-রকম কোনও কবিতা হয় না। উপন্যাসও হবার কথা নয়।
এই ক্ষুদ্রকায় উপন্যাস লেখা হয় কেবলমাত্র একটি সমস্যার সমাধানের কথা ভেবে আর সেটা হল, একটা গদ্য-রচনা করা যায় কিনা যা হবে কবিতার মুখপাত্র। বিষয়ে এবং আঙ্গিকে-উভয়ত।
Book Name : | আমি ও বনবিহারী |
Authors : | সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় |
Publisher: | Inhouse book |
Edition: | 1st Edition, February 2018 |
ISBN Number: | 978-984-93396-7-0 |
Total Page | 80 |
বাংলা গদ্যসাহিত্যের ব্যতিক্রমী লেখক সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় ১৯৩৩ সালের ২৫ অক্টোবর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। পেশাগত সূত্রে কলকাতা কর্পোরেশন আর রাজনৈতিক আদর্শে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের একটি জনপ্রিয় দৈনিকেও কাজ করেছেন তিনি। চার দশকের কিছু বেশি সময়ে তিনি লিখেছেন ৭০টি গল্প, ২২টি উপন্যাস এবং অসংখ্য না—কাহিনিমূলক রচনা। ১৯৯৫ সালে পেয়েছেন বঙ্কিম পুরস্কার এবং ২০০২ সালে পান সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার। মেদহীন ও ভাবালুতা বর্জিত গদ্যে তিনি নাগরিক জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতার বর্ণনা ফুটিয়ে তুলেছেন। বাংলা গদ্যসাহিত্যের কিংবদন্তি এই লেখক গল্প, উপন্যাস ও নানা লেখার পাশাপাশি সারাজীবন ডায়েরি লিখে গেছেন। তিনি মনে করতেন—‘ভালো ভাষা মানে ডিকশন—বুড়ো আঙুলের ছাপ। প্রথমে উচ্চ শিক্ষিত হতে হবে, তারপর সব ভুলে বলতে হবে, আমি কিছুই জানি না, কেবল টিপসই দেওয়া ছাড়া’। ২০০৫ সালের ১২ ডিসেম্বর তিনি প্রয়াত হন।