 
                                         
                                    প্রচলিত সত্যে যাকে গল্পকার বা কথাসাহিত্যিক বলা হয়, সৌম্য সরকারের ক্ষেত্রে হয়তো অন্য বিশেষণের প্রয়োজন-যে কিনা আগের গুরু কথাকারদের মেনেও স্বতন্ত্র; পূর্বসূরি বা পরবর্তীদের থেকে ভীষণভাবে একক। তার লেখা যেমন পূর্ববর্তী মহাজনদের পুজো করে না, আর তেমনিই হয়তো সৌম্যর এ পথের কোনো সাগরেদও হয়ে উঠবে না। সত্যি কি সে কোনো গল্প বলে, নাকি ছত্রাকার পণ্যায়নের এ সময়ে কেবল তুমুল স্যাটায়ারে তিতি-বিরক্ত করে তোলে পাঠকের আপসকামী মন। ক্রমক্ষয়িষ্ণু পরিপার্শে¦র ডায়াগনোসিস সৌম্যর লেখায়-আর তীর্যক। রাজনীতি অর্থনীতি সমাজনীতির ক্লাউনরা-কখনো বা বস্তুও গল্পের প্রধান চরিত্র। সৌম্য কোনো পত্রিকার চাহিদা মেটাতে লেখেন না, ঈদ বা পুজোসংখ্যার জন্যে শব্দ বিয়োন না। নিজের জারিত যন্ত্রণার থেকে উঠে আসে সৌম্যর কথারূপ-লেখা।
| Book Name : | শো না র গল্প | 
| Authors : | সৌম্য সরকার | 
| Publisher: | Inhouse book | 
| Edition: | 2nd Edition July 2024 | 
| ISBN Number: | 978-984-93280-7-0 | 
| Total Page | 168 | 
 
                                                
                                                সৌম্য সরকার জন্মেছেন। না জন্মালেও হতো। এখনও হত বা নিহত বা মৃত হন নাই [একদিন হবেন যে কোনো ফরম্যাটে তাতে আর সন্দেহ কী!]। জন্মেই মানুষের কঁ্যাও—কঁ্যাও শুনে কেঁদে দিয়েছিলেন। মানুষেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ‘কানছে, পোলায় কানছে, বোবা হয় নাই’। তবে কালা [কালো অর্থে] হয়েছিলেন—তার জন্য গঞ্জনা কম শুনতে হয় নাই, পোলা হয়েও [পোলাত্ব নিয়ে কোনো শ্লাঘা বোধ করেন না]। তবে জীবনের কয়েকটি বড় প্রশংসা কুড়িয়েছেন কালোত্বের জন্য [ভালোত্বের জন্য এখনও না]। মাকে ধন্যবাদ। পড়ান সাহিত্য [সাহিত্যের ভাষা—ভেদ না মেনেই] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে। সাহিত্য না পড়ে বা পড়িয়ে উপায় ছিল না, কারণ লোকটা ম্যাথে ভয় খান। তেমন কেউ লেখা পড়ে না জেনেও লিখছেন। না লিখে উপায় থাকে না—না লেখার যন্ত্রণার চেয়ে লেখার যন্ত্রণা কিঞ্চিৎ কম তাই। তেমন কেউ বই কেনে না বুঝেও বই করছেন—নিজেকে প্রচারবিমুখ দাবি করলেও [যদিও ফটো দেখে তা মেনে নেয়া কঠিন] প্রকাশবিমুখ করে তুলতে পারেননি। নাটকের দল ‘বটতলা’র সদস্য। সৌম্যর অবিকৃত [অবিক্রিতও] বইয়ের ফিরিস্তি দেয়া হলো: গল্পগ্রন্থ: নো—না গল্প (কবি প্রকাশনী ২০১৫) শো না র গল্প (কবি প্রকাশনী ২০১৮) কবিতা: ক্ষুধা আর তৃষ্ণা ধরে রাখো (লেখালেখি ২০১১); নীল বিসর্গ নীল (কবি প্রকাশনী ২০১২); বুদ্ধ বললেন, তবুও (কবি প্রকাশনী ২০১৩); হতকাল (কবি প্রকাশনী ২০১৬) অনুবাদ নাটক: ঘানার নাট্যকার মোহাম্মেদ বেন আবদাল্লার নাটক মাল্লাম ইলিয়ার বিচার (ধ্রুবপদ ২০১৩) শাহাদুজ্জামানের উপন্যাসের যৌথ নাট্যরূপ: ক্রাচের কর্নেল (কবি প্রকাশনী ২০১৭)—সহযোগী নাট্যরূপকার: সামিনা লুৎফা নিত্রা এক ফর্মার বই দুটি: জঁুইদি (কবি প্রকাশনী ২০১৩), মধ্যবিত্তের মহাকাব্য (কবি প্রকাশনী ২০১৪)