‘লালসালু’ আজো পর্যন্ত পূর্ববাংলার শ্রেষ্ঠ উপন্যাস বলে সুধীমহলে স্বীকৃত। তেমনি কথাশিল্পী হিসেবে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র শ্রেষ্ঠত্বেও প্রায় কেউই দ্বিমত পোষণ করেন না।
অল্পপরিসর পটভূমিকায় উপন্যাসের মৌলিক চরিত্র ধর্মরক্ষা এক কঠিন কাজ। সেই কঠিন কাজে ‘লালসালু’র লেখক সফল হয়েছেন, একথা দ্বিধাহীন চিত্তে বলা চলে।
মানুষের জীবনজিজ্ঞাসা নানা পথে নানা মাধ্যমে উত্তর খুঁজতে থাকে। জীবন নিঃশেষ হতে থাকে জীবনের ঘাটে ঘাটে; কিন্তু জিজ্ঞাসার উত্তর তবু পাওয়া যায় না। প্রশ্ন থেকে প্রশ্নান্তরে যে ব্যাকুল হৃদয় আত্মপ্রতিষ্ঠার সন্ধান চায় সে হৃদয়ের সান্ত্বনা মেলেনা শেষ পর্যন্ত কোথাও।
‘লালসালু’র রক্তরঙিন আবরণে ঢাকা থাকে বহু বেদনা বহু বঞ্চনার কাহিনি—লেখা থাকে বহু ব্যর্থ কামনার ইতিহাস। সেই ইতিহাসের নগ্ন বিধৃতি সমগ্র ‘লালসালু’তে।
Book Name : | লালসালু |
Authors : | সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ |
Publisher: | Inhouse book |
Edition: | 1st Edition, February 2020 |
ISBN Number: | 978-984-94239-5-9 |
Total Page | 96 |
জন্ম : ১৫ আগস্ট ১৯২২। পিতামাতার দ্বিতীয় সন্তান তিনি। পারিবারিক পরিমণ্ডলের এই সাংস্কৃতিক আবহাওয়া সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র মনন ও রুচিতে প্রভাব ফেলেছিল। তাঁর আনুষ্ঠানিক ডিগ্রি ছিল ডিস্টিঙ্কশনসহ বিএ এবং অর্থনীতি নিয়ে এমএ ক্লাসে ভর্তি হয়েও শেষে পরিত্যাগ করেন। পঠদ্দশাতেই সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র কর্মজীবন শুরু হয়। বাধ্য হয়ে নয়, স্ব—ইচ্ছায়। তাঁর স্ত্রী ফরাসিনী। নাম : আন্—মারি লুই রোজিতা মার্সেল্ তিবো। তাঁদের দু’সন্তান। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ‘নয়নচারা’ [ছোটগল্প, ১৯৪৫], ‘লালসালু’ [উপন্যাস, ১৯৪৯], ‘বহিপীর’ [নাটক, ১৯৬০], চাঁদের অবাবস্যা [উপন্যাস, ১৯৬৪], ‘সুড়ঙ্গ’ [নাটক, ১৯৬৪], ‘তরঙ্গভঙ্গ’ [নাটক, ১৯৬৫], দুই তীর ও অন্যান্য গল্প [ছোটগল্প, ১৯৬৫], কাঁদো নদী কাঁদো [উপন্যাস, ১৯৬৮]। তিনি ১৯৫৫ সালে ‘বহিপীর’ নাটকের জন্য পি.ই.এন. পুরস্কার পান। ১৯৬১ সালে উন্যাসের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কারে সম্মানিত হন এবং ১৯৬৫—তে ‘দুই তীর ও অন্যান্য গল্প’ গ্রন্থের জন্য আদমজী পুরস্কার লাভ করেন। মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের ফলে মাত্র ঊনপঞ্চাশ বৎসর বয়সে, ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।