বাংলা সাহিত্যের শুদ্ধতম কবি, জীবনানন্দ দাশ। বিস্ময়—রহস্যে মগ্ন পাঠককে নিয়ে চলেন আলোতে—অন্ধকারে। রূপসী বাংলা, কবির জনপ্রিয়তম কাব্যগ্রন্থ। জীবদ্দশায় যার একটি কবিতাও তিনি প্রকাশ করেননি। নির্বাচন করেছিলেন শুধু একটি প্রচ্ছদনাম, বাংলার ত্রস্ত নীলিমা। কবির ভাই অশোকানন্দ দাশের উদ্যোগে, গ্রন্থাকারে আবির্ভাব ১৯৫৭ সালে। সিগনেট প্রেসের প্রকাশনায়, সত্যজিৎ রায়ের প্রচ্ছদে।
Book Name : | রূপসী বাংলা |
Authors : | জীবনানন্দ দাশ |
Publisher: | Inhouse book |
Edition: | 1st Edition, June 2022 |
ISBN Number: | 9789849673514 |
Total Page | 88 |
জন্ম : বরিশাল, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯। আদি নিবাস গাওপাড়া, গ্রাম, বিক্রমপুর। পিতা বরিশাল ব্রজমোহন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সত্যানন্দ দাশ। বরিশাল ব্রজমোহন স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক (১৯১৫), বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আই.এ (১৯১৭) সালে। কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বি.এ (১৯২১) ডিগ্রী লাভ। ১৯২২—১৯২৮—এর কলকাতা সিটি কলেজে, ১৯২৯—এ বাগেরহাট কলেজে ও ১৯২৯—১৯৩০—এ দিল্লীর রামযশ কলেজে অধ্যাপনা। ১৯৩০—এ ঢাকার লাবণ্য গুপ্তের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ। কিছুকাল বেকার জীবন যাপন। ইনসিওরেন্স কোম্পানির এজেন্ট হিসেবে কিছুদিন কর্ম সম্পাদন। কিছুকাল ব্যবসা করার পর ১৯৩৫—এ বরিশাল ব্রজমোহন কলেজে অধ্যাপনার চাকরি লাভ। ১৯৪৬ পর্যন্ত এ কলেজে অধ্যাপনা। অতঃপর কলকাতা গমন। ১৯৪৭—এ ‘দৈনিক স্বরাজ’—এর সাহিত্য বিভাগ সম্পাদনা। ১৯৫১—১৯৫২— তে খড়গপুর কলেজে, ১৯৫২ তে বড়িষা কলেজে ও ১৯৫৩ থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত হাওড়া গার্লস কলেজে অধ্যাপনা। প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ : ‘ঝরা পালক’ (১৯২৮), ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’ (১৯৩৬), ‘বনলতা সেন’ (১৯৪২), ‘সাতটি তারার তিমির’ (১৯৪৮), ‘রূপসী বাংলা’ (১৯৫৭) তিনি একজন কথাসাহিত্যিকও। মৃত্যুর পর প্রকাশিত উপন্যাস : মাল্যবান (১৯৭৩), সতীর্থ (১৯৭৪)। গল্প সংকলন : ‘জীবনানন্দ দাশের গল্প’ (১৯৭৯)। জীবনানন্দ দাশের অপ্রকাশিত রচনাবলী খণ্ডে—খণ্ডে প্রকাশিত হয়ে চলেছে। মৃত্যু : কলকাতা, ট্রাম দুর্ঘটনা, ২২ অক্টোবর, ১৯৫৪।